একাত্তর তুমি- শীতের সকালে মিষ্টি রোদ্দুর
তুমি- নব উদ্দীপনায় স্বপ্ন জাগাও হৃদয় মাঝ।
একাত্তর তুমি-মুক্তি দূত হয়ে এসেছিলে-
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে।
একাত্তর তুমি আছো অনুপ্রেরণায় অনুভবের ছুঁয়ায়
তুমি লাখো শহিদের রক্তে অর্জিত তুমি চেতনায়।
একাত্তর তুমি চির ভাস্বর লাল-সবুজের পতাকায
তুমি বাঙালির অহংকার স্মৃতির পাতায় গীতময।
একাত্তর তুমি আসলেই দেশমাতৃকার নির্জলা প্রেম হৃদয়ে সতেজতা পায় শত দুঃখ বেদনার প্লাবনেও।
তোমায় ভেবে যুদ্ধকরি ভীনদেশী দোসরদের বিরুদ্ধে -
যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমি খিপ্ত হই অশান্ত এই চিত্ত্বে।
একাত্তর তুমি এসেছো বলে মনে সুরের ঝংকার তুলে।
তোমায় ভাবতেই বেদনার সুর মূর্ছনা জাগে হৃদয় পটে।
একাত্তর তোমায় খুঁজে ফিরি নিরিবিলি ঘাটে মাঠে
তোমায় খুজি পাখির উন্মুক্ত ডানায কাশফুলে নদীতটে ।
একাত্তর তোমায় কেন খুঁজি জানো?
তুমি শুধু একটা ভূখণ্ড দিয়েছো সাথে স্বতন্র পতাকা।
স্বাধীনতার স্বাদ স্বতন্ত্রতা পাইনি এখনো
ফিরে পাইনি বাকস্বাধীনতা।
একাত্তরের মা বোনের মত-
এখনো আমার বোনেরা ধর্ষিতা হয়।
একাত্তর তুমি নির্বাক তাই বলতে পারনা-
এখনো আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙে রাজপথ।
পুত্র হারা মায়ের আর্তচিৎকার ভাসে আকাশে বাতাসে পিশাচেরা উল্লাসী হয়ে হাসে অট্টহাসি।