জীর্ণ পাতার মুখর সংলাপে, আকাশঘন ভিনদেশী প্রলাপে ,
বসন্তেরই প্রথম বিহ্বলতায়, ভীষণ করুণ সৈয়দী আলাপে,
হোক না লেখা শুধু একটি নাম,
প্রেমহীন এই গণ ইস্তাহারে তোমার আমার ব্যর্থ মনোস্কাম|
নগরীর পথে দ্রোহের চিতা জ্বলে, নগ্ন শ্বাপদ ছিঁড়ে খায় শবদেহ,
নাই বা হোল রাতের কড়ানাড়া, তবুও রব তুমি, আমি কিংবা অন্য কেহ|
মধ্যরাতের সাইরেন বেজে যায়, শীর্ণ দেহ নারী সাজে আলোর বিপরীতে,
শিক্ষা বিকোয় কালোয়াতির চড়া দামে, রাস্তা কিন্তু আজও কারো একার নয়|
সুস্থ রুচি মুখ ঢাকে বিজ্ঞাপনে, যৌন শরীর উল্লাসে আটখানা,
নীরবে শুধু ভালোবাসা মুছে যায়, শ্রান্ত পকেট খিদের ডাক না মানা|
প্রাণঘাতী এক ক্যান্সার শরীর জুড়ে, রাষ্ট্রের শব পচে চলে অহরহ,
দেবপ্রাণ সঁপে ঈশ্বরেরই কাছে, পিছে পরে থাকে বিক্ষোভ, বিদ্রোহ|
নাই বা হোল এ জনমেতে, কিংবা মধুক্ষণে, তোমার আমার মিলন হে প্রিয়,
জন্মান্তরে সাগর হবে তুমি, বাসবে ভাল নীলতিমি সম|
জ্যোৎস্নামাখা সুনীল মরুভূমি, আঁকবে পথ নিবিড় দ্রাঘিমায়,
আমি তখন আলোকবর্ষ দূরে, গ্রহ থেকে লীন দূর গ্রহান্তরে,
পুঁজির লালসা ছড়িয়ে পরবে জেনো, পৃথিবী ছেড়ে সুদূর নীহারিকায়|
লোভের কটূ পুঁতিগন্ধময়, আবর্জনারই স্তূপ হাতড়ে শেষে
ফসিল রূপে ধরা দেব দোঁহে, কোমলসম শিলার রুক্ষতায়|