পঞ্চ ইন্দ্রিয় ক্লান্ত হয়ে
একদিন কহিবে সমস্বরে,
আর বহিতে পারছিনা তব বোঝা
ফিরে যাও আপন নীড়ে।
বাতাসে খুঁজিবো একফোঁটা নিঃশ্বাস
জমিনে শস্যকণা,
সবাই কহিবে বরাদ্দ শেষ
আর হবেনা ধার-দেনা।
নিঃতেজ হবে শিরা-উপশিরা
দু'চোখ অন্ধকার,
পৃথিবীর বুকে হারিয়ে যাবে
ছিলো যত অধিকার।
দুই কাধের দুই মুহুরি জনমভর
পাপ পূর্ণ্য হিসেব করে,
দুর্দিনে তাঁরাও ছুটি লইয়া
যাইবে আমায় ছেড়ে।
মালাকুল মওত এসে দেহ হতে
কাড়িয়া লইবে প্রাণ,
মাটির উপর পরে রবে শুধু
শূণ্য দেহখান।
নামহীন বর্ণহীন আমি এখন
শুধুই একটা লাশ,
এ যেন ক্ষণিক পৃথিবীর
নিঠুর পরিহাস।
বহুদিন ধরে নিজ হাতে ভেঙ্গে গড়ে
যাহা নিলেম আপন করে,
একা পথে খালি হাতে আজ
যেতে হবে সব ছেঁড়ে।
হয়তো কেহরে কবর দিবে
নয়তো শ্মশানে নিয়া,
সোনার অঙ্গ ছাই করিবে
কাঠের আগুনে পুড়িয়া।
পিছন ফিরে ডাকবেনা কেহ
রাখবেনা বুকে ধরে,
সব প্রিয়জন মিলেমিশে
বিদায় জানাবে চিরতরে।
তাই বলি মন ছেড়ে ক্ষণিক স্বপন
পরকালের কথা ভাব একবার,
কবর হাসরে হবে জীবনের হিসাব
পাবেনা একবিন্দু ছাড়।