তোমাকে চাই ।। ফারিহা ইয়াসমিন


তোমাকে চাই

তোমাকে চাই, কাক ডাকা ভোরে 
কিংবা ক্লান্ত দুপুরে।
নগ্ন পায়ে ছুটে চলা বিদগ্ধ  নুপুরে।
 
ঘুমে- জাগরণে প্রতিটি ক্ষণে। 
তোমাকেই চাই এই প্রাণে আর মনে।

গোধূলি বিকেলের সোনালী আভাতে,
 কোন এক স্বপ্নের রঙিন প্রভাতে।

অজানা  সুতোর নিবিড়  টানে 
 তোমাকেই চাই হাসি আর গানে।

শিশির ঝড়া দূর্বাঘাসে,
বয়ে চলা জীবনের প্রতি নিঃশ্বাসে।

প্রগাঢ় ভালোবাসার  মায়াবী সুরে,
শুধু তোমাকেই চাই এই হৃদয়টা জুড়ে।


অভিমান

আঁকবে না ছবি, অভিমানে কবি
শোনাবেনা পাখি গান।
 বলবে না কথা, ভেঙে নিরবতা
ভুলে গিয়ে  পিছুটান।

শরতের কালে, ছেঁড়া কোনো পালে
বর্ষায় জমে মেঘ।
 কেঁদে কেঁদে যদি, ভরে নদ-নদী
লুকাবো এ আবেগ

বেদনার খামে, কভু কারো নামে
পড়িনি তো প্রেম-হার।
শত দ্বিধা দন্ধ, এলোমেলো ছন্দ 
ভাষাহীন কবিতার।
   
শুনেনা সে ডাক, যত কাছে  থাক
হৃদয়ের নেই টান।
খুলেনি সে আঁখি, মন ভাঙা পাখি
করে  তাই অভিমান। 
   
দিন রাত ভাবি, করবোনা দাবি 
যদিও তবু চাস,
হতে পারি ফুল,জবা ও বকুল
শরতের সাদা কাশ।
  
শিউলির ঘ্রাণে,আশা জাগে প্রাণে
 অবারিত প্রেম সুখ।
রাখো যদি মোরে, বেঁধে বাহুডোরে
হবোনা বিমুখ। 

আসে যদি ঢেউ, খুব করে কেউ 
নেয় যদি খোঁজ। 
করবো আপন, সারাটা জীবন
ভালোবেসে  রোজ।

শোকাবহ ১৫ আগষ্ট

দিনটা ছিলো ১৫ আগষ্ট, আঁধার কালো রাতে।
ঘাতক সেনা ঝাপিয়ে পড়ে  গোলা বারুদ হাতে।

সবুজ -শ্যামল বন বনানী, রক্তে রাঙ্গা ভূমি।
অকাতরে তাদের হাতে জীবন দিলে তুমি।

এক নিমিষেই কেড়ে নিল সবার মুখের বুলি।
নির্বিচারে স্ব-পরিবারে,  চালায় বুকে গুলি।

তাইতো আজো তোমার শোকে মর্মাহত জাতি।
বাংলার বুকে জ্বালিয়েছো, আলোক ঝরা  বাতি।

লাখো মানুষ এগিয়ে আসে, তোমার ভাষণ শুনে।
শুন্য বুকে বেঁচে থাকার নতুন স্বপন বুনে।

বজ্র কণ্ঠের মধুর বানী, আজো প্রতিক্ষণে।
চলার পথে সাহস জোগায় সব মানুষের  মনে।

বীর বাঙালির শ্রেষ্ঠ নেতা, শেখমুজিবুর তুমি।
তোমার  জন্য পেলাম মোরা স্বাধীন বঙ্গভূমি।

তোমার ত্যাগের অমরকৃত্বি, বিশ্ব বাসী জানে।
তোমার জন্য পেয়েছি খুঁজে স্বাধীনতার মানে।

দূর আকাশে উঠে হেসে, ভোরের সোনা রবি।
কাব্য কথায় শিল্পী কবি, তাইতো আঁকে ছবি।

আকাশ বাতাস কানন-গিরি পাথর তোমার শোকে।
তাইতো আজো শ্রদ্ধা ভরে, স্মরণ করে লোকে।


বাবা তোমায় ভালোবাসি

বাবা মানে ভোরের আলো হাসিমাখা মুখ, 
হাজার ফুলের সুবাস মাখা স্নেহ ভরা বুক।

 বাবা মানে রোজ সকালে মিষ্টি মধুর ডাক
 আদর, শাসন, ভালোবাসা মান অভিমান রাগ।

 বাবা মানে রোদেলা দিন মাথার উপর ছাদ,
উষ্ণ বুকে শীতল হাওয়া জোসনা মাখা রাত।

বাবা মানে ক্লান্ত দুপুর স্বর্গীয় একটা সুখ,
সকল প্রকার বিপদ থেকে আগলে রাখা বুক।

 বাবা মানে মুক্তিকামী সংগ্রামী এক বীর, 
অফুরন্ত ভালোবাসা  শান্তি সুখের নীড়। 

বাবা মানে বিশ্বজয়ের মহামন্ত্র বাণী,
 একটু আদর, একটু শাসন একটু অভিমানী।

 বাবা মানে স্বপ্ন দেখা মুক্ত ঝরা হাসি, 
নিজের থেকেও বাবা তোমায় অনেক ভালোবাসি।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।