আমাদের ভালোবাসা হোক চুম্বকের মত।
যেখানে আকর্ষণ, বিকর্ষণ এবং কখনো পথ হারালে দিকদর্শন হয়ে পাশে থাকবে।
ছোট্ট কালে চুম্বক কে বেশি পছন্দ করতাম। চুম্বকের একপাশে সুতো বেঁধে মাটিতে গড়াই গড়াই খেলতাম। দেখতে পেতাম কিছুক্ষণ পরে,চুম্বকের গায়ে লেগে আছে পেরাগ,ছোট্ট টিনের টুকরো, নুড়িপাথরের গুড়ো নানা লোহা জাতীয় পদার্থ।
মাঝেমধ্যে আমার চুম্বকের সাথে মিমির চুম্বকে কাছে ধরলে দেখতাম চুম্বক দুটি একটু উল্টে-পাল্টে কিংবা নেড়েচেড়ে লেগে যাচ্ছে। খুব আনন্দ পেতাম।চুম্বক খেলে।
আমার চুম্বককে নিয়ে হাজার প্রশ্ন ছিল।
সেই ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ পয়র্ন্ত আমার প্রশ্নের উত্তর কোথায় খুজে পেলাম না।যখন ক্লাস নাইনে বিজ্ঞান বি়ভাগ নিই, জানতে পারি নানা বিজ্ঞানের রহস্য আর সেই চুম্বকের আসল রহস্য।
শ্রদ্ধেয় বিকাশ স্যার "বিদুৎতের চুম্বক ক্রিয়া অধ্যায়টি পড়াছিলেন।
আমার মনে খুশির জোয়ারের ঢেউ।
ক্লাসের কিছু অংশ বলতে চেষ্টা করবো।
পরিক্ষা -
উপকরণ ঃএকটি চুম্বকের দন্ড,একটা সুতো,একটা স্ট্যন১মে সুতেটির গায়ে চুম্বক দন্ডটির ঠিক মাঝ বরাবর বেঁধে স্ট্যন্ডে ঝুলিয়া নিই।কিছু পর চুম্বক দন্ডটি দুল দেয়ার পর যখন স্হির আবস্হায় যাবে, দেখতে পাবে চুম্বকটি উত্তর -দক্ষিণ দিক বরাবর হয়ে আছে।আবার,
চুম্বকটির গায়ে ধাক্কা দিলে একি আচরণ করছে রছে।
এর মানে কি??এর মানে হলো, পৃথিবী একটি চুম্বক পদার্থ। পৃথিবী যেদিকে উত্তর মেরু সেদিকে চুম্বকের উত্তর মেরু আর যেদিন পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু সেদিকে চুম্বকের দক্ষিণ মেরু তাই চুম্বক টি এমন আচরণ করছে।
অনেক interesting লাগছিল শুনে।আবার,
আমরা জানি, চুম্বকের একি মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে আবার বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
এখন বুঝতে পারলাম
আকর্ষণঃটানা,কাছে চলে আসার প্রবণতা।
বিকর্ষণঃদূরে চলে যাওয়া, ঠেলে দেয়া।
দিকদর্শনঃ যেখানে নিই না কেন। এক খন্ড চুম্বককে ঝুলালে উত্তর- দক্ষিণ দিকে হয়ে থাকবে ফলে দিক নির্ণয় করতে পারা।
তাহলে চুম্বক কাকে বলে?
উত্তরেঃযার আকর্ষন,বিকর্ষণ এবং দিকদর্শন আছে তাকে চুম্বক বলে।
আরো interesting ব্যাপার হলে চুম্বক সার্থপর নয়।যত বাধাঁ আসুক না কেন নিজেকে পরিবর্তন করে না।অর্থাৎ,একটি চুম্বকে কে যত ভঙ্গুর করুক না কেন,যত পিটুনি দিক না কেন মাতৃ চুম্বকের ন্যায় আচরণ করবে।অথাৎ ভাঙলেও নতুন চুম্বকে উত্তর মেরু, দক্ষিণ মরুতে পরিণত হবে।আগের ন্যায়।
তাই আমি চুম্বককে ভালোবাসি।আমাদের ভালোবাসা হোক একখন্ড চুম্বকের ন্যায়।