কলঙ্কগান
বাউল শরীর তাকে ছেড়ে গেছে
সে এখন কৃষ্ণগাছ
ছায়াটির নীচে লিখে রাখে দেহনাম
কপোতাক্ষ নদের বিরহ ও সঙ্গম দৃশ্যে
কুয়াশাচ্ছন্ন কানি বক এসে বসে
বেদে রমণীর গান ভেসে আসে
কপোতাক্ষ নদ ঘেঁসা বেদেপল্লী থেকে
সেই গান শুনতে শুনতে কখন যেন সে
নিজেই গেয়ে ওঠে কলঙ্কগান
খুব দূর ভালোবাসায়
যদি ভালোবাসা থেকে ফিরে কখনো নদীর কাছে
বৃক্ষের কাছে, বনপ্রান্তে অথবা গহণ অরণ্যে
যেতে চাই
মনে হয় ভালোবাসা আলো-আঁধারির
অঞ্জন ছোঁয়া এই লীলা---
অধিক দূরের অবাধারিত ব্যথিত ভোর
দুঃসহ অনল দহন, পাতা ঝরার দিন;
বৃক্ষের শুকনো শাখায় কিছু হাহাকার ধ্বনি।
অথচ উদ্ধত ঘাসের ডগায় এখন
তোলপাড় উল্লাস
পল্লবে পুষ্পে জমাট সজীবতা।
যদি ভালোবাসা থেকে ফিরে
মানুষের কাছে কখনো আসি, তিলার্ধ সময় মাত্র
করতলের অস্পষ্ট রেখাতে অলীক সুখের
ছবি দেখি---
মানুষের স্বরও জাগে।
তারপর প্লাবন, রৌদ্রের দহন
দুরন্ত-ঝড়ের জটিলতামাখা দিন।
অথচ বনভূমি, নদী, নারী
এমনকি তূলনাবিহীন তুমিও তখন
আমার পরিজন সীমা থেকে দূরে, বহুদূরে... ...