মজিদ বেপারী গ্রামের মোড়ল।সবাই তাকে মান্য করে।গরীব দুঃখী মানুষ বিপদে পড়লে তার কাছে ছুটে আসে।তিনিও মোটামুটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান।গ্রামের শালিস বিচার মামলা মোকদ্দমা মোটামুটিভাবে তিনি সমাধান করেন।তিনি পায়াঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।গায়ে পাঞ্জাবী পরনে ডোলা পায়জামা গাল পুরু দাঁড়ি দেখতে একেবারে ধর্ম ভক্ত পরহেজগার মুত্তাকি মনে হয়।লোকেও তাকে খুব বিশ্বাস করে।মানুষকে দীনের পথে আসার জন্য হেদায়েত করেন তিনি।মাঝে মাঝে চাঁদনি রাতে লোকজন নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের গল্প করেন।কিছু কিছু লোক তার কথা মান্য করে। আবার কিছু লোক মুখ ভ্যাংচি কেটে বলে,
১৯৭১ সালে ছিল "রাজাকার" আর এখন হয়েছে পরহেজগার মুত্তাকি মুক্তিযোদ্ধা।কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ মিথ্যাবাদী।সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করে প্রতিনিয়ত।আর এই মিথ্যার বেড়াজালে চাপা পড়ে আসল সত্য।মজিদ বেপারী সবাইকে বলে বেড়ায় সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর সে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। শুধু তাই নয় সে মন প্রাণ দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে।আর তাই প্রায়ই সময় জন সম্মুখ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে।আর রাজাকার বাহিনী কিভাবে মিলিটারীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে তার ও বর্ণনা দিতেন ভালোভাবে।লোকে কান পেতে তার কথা শুনত।আর তার আষাঢ়ে গল্প বিশ্বাস করে তাকে সত্যিকারে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান করতো।কারণ নতুন প্রজন্ম জানেনা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।কিন্তু তার সময়ের অল্প কিছু লোক যারা এখনো জীবিত আছেন এবং স্বচক্ষে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন তারা জানেন তার আসল পরিচয়।তাই উনারা কখনো তার কথা বিশ্বাস করতেন না।তাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে রাজাকার বলে সম্বোধন করতেন।এতে তার পক্ষের লোকজন ক্ষেপে যেত।শুধু তাই নয় অনেক সময় কথা কাটাকাটি করতো।
এলাকার অধিকাংশ যুবক ছিল তার দলে।তারা ক্ষেপে উঠে বলত,
আপনাদের লজ্জা করে না একজন ধার্মিক লোকের নামে এত বড় অপবাদ দিতে?উনি সমাজের মানুষের জন্য কি না করেন।১৯৭১ সালে যেমন পরাধীনতার হাত থেকে নিজের জীবনের মায়া না করে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।আর এখনো মানুষের সুখ দুঃখে বিপদ আপদে এগিয়ে যাচ্ছেন সবার আগে। তবুও তাকে অপমান করছেন।আপনারা মানুষ না পশু?
তখনি মজিদ বেপারীর বয়সী হালিম মাঝি জোর গলায় বলল,
এই মিয়া উঁচু গলায় কথা কইবা না।তুমি এখন কার পোলা।তুমি জানবা কি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা।আমরা সব জানি। এই মজিদ বেপারী ছিলো রাজাকার। ১৯৭১ সালে "রাজাকার" হইয়া কাজ কইরা ছিলো।শুধু কি তাই জোয়ান মাইয়াগোরে ধইরা মিলিটারি ক্যাম্পে দিয়া আইতো।এখন আবার বেমালুম মিথ্যা বইল্যা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছে,লজ্জা করে না।
এবার মজিদ বেপারী পক্ষ হয়ে কামেলে পড়া আবদূর রহিম বলল,
আপনি এসব জানলেন কি করে?
কি কইরা জানলাম মাইনে আমি তখন মাঝ বয়সী।আর তোমাগো আজকের মজিদ বেপারীর বয়স বিশ পঁচিশ অইব।তারে সবাই মইজ্জা কইয়া ডাকত।তার বাবা ছিল গরীব, দিন এনে দিন খাইত। সে কাজ কর্ম করতো না।পাড়ায় পাড়ায় ঘুইরা বেড়াইতো। মাস্তানি করত,সবাই তাকে বখাইট্যা মইজ্জা কইয়া ডাকত।আর যখনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সকল বাঙ্গালী এক হইয়া মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে তখন এই মইজ্জা এলাকায় তার মতো বখাইট্যা পোলাগোরে লইয়া রাজাকার বাহিনী গঠন করে।তারপর পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর লগে যাইয়া একজোট হয়।সেনা বাহিনী গোরে সে খুব তোষামোদ আর খাতির কইরা তাগো মন জয় কইরা পালাই।তার পর সেনা বাহিনী খুশি অইয়া তারে এই এলাকার শান্তি কমিটির মেম্বার বানাইয়া দেয়।তারপর থেইক্যা সে সেনা বাহিনীগো কথা মতন উঠ বস করত।এলাকার বেবাক মুক্তিযুদ্ধের খবর সেনাবাহিনীগো কাছে পৌছাইতো।তখনি তারা বাড়ি বাড়ি আইয়া মুক্তিযোদ্ধাগোরে ধইরা লইয়া যাইত।আর তাগো মা-বাবা ভাই-বোন সবাইরে ধইরা কইষ্যা বাইন্দ্যা এক লগে গুলি কইরা মারতো।আর জোয়ান মাইয়াগোরে ধইরা নিয়া ক্যাম্পে সম্ভ্রম হানি ও বহুত নির্যাতন করতো।আর এই রাজাকার মইজ্যা মুক্তিবাহিনীগো বাড়িঘর লুট করত।মিলিটারি ক্যাম্পে বাঙ্গালি অনেক জোয়ান মাইয়া নির্যাতন সইতে না পাইরা আত্নহত্যা করতো।আর কেউ নির্যাতন সহ্য করতে না পাইরা মইরা যাইত।আর এসবের মূল অইল বাংলার "রাজাকার" বাহিনী।আমাগো এলাকায় যত অঘটন ঘইট্যাছিলো বাড়ি-ঘর, লুটপাট জ্বালাও পোড়াও, মা বোনে সম্ভ্রম হানি সবই ঘটেছে এই রাজাকার মইজ্জার কারণে।আর এখন কয় কিনা সে মজিদ বেপারী মুক্তিযোদ্ধা।
কি আজব কান্ড রাজাকার অয় বোলে মুক্তিযোদ্ধা,বখাইট্যা মইজ্জা অয় বোলে মজিদ বেপারী, হা হা হি হি হি হো হো হো.....।
তার এ মজার হাসি মজিদ বেপারীর মনে আঘাত হানল।সে বুঝতে পারলো হালিম মাঝি গরীব হলে প্রতিবাদ করার সাহস, সততা,ন্যায়পরায়ণতা,তার আছে।তাই তার মতো মিথ্যাবাদী মজিদ বেপারীর আসল পরিচয় তুলে ধরতে দ্বিধা করলো না।মজিদ বেপারি পড়লো মহাবিপাকে, হালিম মাঝি বেঁচে থাকলে তো তার কুকীর্তির কথা আরও ফাঁস করে দিবে।তাই তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলো।কিন্তু জনগনের সামনে তাকে বোকা বানাতে তো হবে। তাই আস্তে ধীরে বলে,
তওবা তওবা হালিম মাঝি তুমি এসব কি বলতেছ।সব মিথ্যা কথা, আমি রাজারকার ছিলাম না।আমি ছিলাম মুক্তিযোদ্ধা।তুমি হয়তো ভুলে গেছ।
এবার হালিম মাঝি বলে,
মজিদ বেপারী আর মিছা কথা কইবা না।সত্য কথা কইয়া অন্যায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাও।তা অইলে দেশবাসীর রাগ পইরা যাইব।রাজাকারের খাতা থেইক্যা তোমার নাম কাইট্যা যাইব।তানা অইলে খবর আছে।এই বাংলার মানুষ একদিন না,একদিন রাজাকারের বিচার কইরা ছাড়বো।
এই আমি কইয়া রাখলাম।
মজিদ বেপারী কোন রকমে পেরে উঠতে পারছে না।কিন্তু জনগনের সামনে ভালো মানুষ সাজতে তো হবে।তাই কুবুদ্ধি খাটিয়ে বলল,
হালিম মাঝি তোমার সব কথা ঠিক।তবে একটা কথা ভুল বলেছ।
মজিদ বেপারি কথা বাড়াইয়ো না আমি কোন ভুল কথা কইনি।
মজিদ বেপারি মাথা নেড়ে বলে,
হ্যাঁ হালিম মাঝি তুমি একটা ভুল কথা বলেছ,সেটা হলো,তুমি যে বখাইট্যা মইজ্জার কথা কইতাছ, আমি সে মইজ্জা না।এবার আমার সব কথা মনে পড়েছে।ও আসলে "রাজাকার" ছিল।শুধু তাই নয় এ এলাকার শান্তি কমিটির মেম্বার ছিল।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিবাহিনীরা তাকে মেরে ফেলে। আমিও ছিলাম,প্রথম গুলি ফায়ার করি আমি।
নামে নামে এক হলে কি, যে কাউকে রাজাকার বলা যাই।তাছাড়া আমার নাম হলো আবদুল মজিদ বেপারি।আর তার নাম ছিল বখাইট্যা মইজ্জা।পরে হলো "রাজাকার"। আর তুমি কিনা ওর পাপের বোঝা আমার ঘাড়ে চাপাইতাছ?কি বলো মিয়ারা,আমি কি মিথ্যা কথা বললাম।
তারপক্ষের লোকজন সবাই একবাক্যে বলে উঠল,
আমাদের মজিদ বেপারি সাহেব কখনো মিথ্যা বলতে পারে না।তাছাড়া উনি একজন দ্বিনদার লোক।সব হালিম মাঝির বানোয়াট গল্প।
ধর শালারে।
তাকে মারার জন্য সবাই প্রস্তুত।তখনি মজিদ বেপারি ভালো মানুষ সাজার জন্য বলল,
এই মিয়ারা কি শুরু করে দিলে থাম।সে না হয় না জেনে একটা দোষ করলো।তাই বলে তোমরা ওকে মেরে ফেলবে।না তা কখনো ঠিক না।সকল মুসলিম ভাই ভাই।মুসলিম হয়ে মুসলিম মারা কঠিন পাপ।এটা আল্লাহ পাকের নির্দেশ।
আর কোন গন্ডোগোল নয়।সবাই বাড়ি ফিরে যাও।
হালিম মাঝি বাড়ি ফিরে গেল।এর ফাঁকে কেটে গেল দুদিন।মজিদ বেপারির ভিলেন বাহিনী ও অস্ত্র সস্ত্র এখনো আছে।তিনি মুখোশের আড়ালে ভালো মানুষ সেজে এখনো খারাপ কাজ করেন।তার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা আছে।চোরাই পথে মদ, গাজা,হিরোইন, অস্ত্র সস্ত্র, আদান প্রদান করেন গোপনে।১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির মেম্বার হয়ে বাঙ্গালি জাতির বাড়ি-ঘর লুটপাট করে অনেক ধন সম্পদের মালীক হয়েছেন।সে টাকাই দোকান পাট, মিল, ফ্যাক্টরী অনেক কিছু তৈরী করেছেন।এজন্য অবৈধ মালামাল গুদামজাত করতে সমস্যা হয়না।
মজিদ বেপারি ভিলেন বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন,হালিম মাঝিকে মেরে ফেলার জন্য।ভিলেন বাহিনীর কড়া নজর হালিম মাঝির উপর।
হালিম মাঝি আজ সদাই করতে গঞ্জের হাটে গিয়েছিল।রাত প্রায় দশটা সে বাড়ির দিকে রওয়ানা করলো।কিছুদূর আসার পর মজিদ বেপারির ভিলেন বাহিনী তাকে এট্যাক করে হাত পা বেঁধে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারপর গুলি তাক করে।
তখনি হালিম মাঝি বলে,
আমি বুঝবার পারছি তোমরা কারা। তোমরা অইলা ঐ মইজ্জা রাজাকারের কুত্তা।
আমারে মারলে ও তার রাজাকার পরিচয় গোপন অইব না।বাংলার মাটিতে একদিন তাগো মতন রাজাকারের বিচার অইব।
ভিলেন বাহিনী আর দেরী করলো না।ঠুস ঠুস গুলি ফায়ার করলো।
ভিলেন বাহিনীর কাজ শেষ করে হালিম মাঝির লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তারা বিদায় হলো।সকাল হলে লোকজন ঝুলানো লাশ দেখে এগিয়ে আসে।আস্তে আস্তে অনেক লোক জড়ো হয়।তার স্ত্রীর ছেলে মেয়ে খবর পেয়ে ছুটে এসে কাঁদতে কাঁদতে লাশের উপর পড়ে।সবাই মিলে তাদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাই।মজিদ বেপারি ছুটে এসে আফসোস করে বলে,
কোন অমানুষে করলো এমন জঘন্য কাজ।উহু কি অমানবিক কাজ।
কাউকে আমি ছাড়ছি না।হালিম মাঝির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।আমি থানায় মামলা করবো।যাও তোমরা সবাই মিলে ওর দাঁফনের ব্যবস্থা কর।
তার বউ বাচ্চাকে বুঝিয়ে নিজের দায়িত্ব লাশ বাড়িতে পৌছানো এবং দাঁফন কাঁপনের কাজ শেষ করলেন।মুক্তিকামী মানুষেরা ঠিক বুঝতে পারলো এ কাজ কে করেছে।তারা ভয়ে আর মুখ খুললো না।কারণ হালিম মাঝির মতো তাদেরকে ও যদি মেরে ফেলে।হালিম মাঝির মৃত্যুতে পুরো এলাকার মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় বিরতির পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধ কমিটি গঠন করলেন।তারপর সারা বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।সব জেলা উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত শুরু হলো।
মজিদ বেপারির এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকার প্রথম নামটি হলো মজিদ বেপারীর।নাম ঠিকানা সব কিছু উল্লেখ, সঙ্গে সার্টিফিকেটের জন্য একটা দরখাস্ত দেয়া হলো।
বাচাই পর্ব শুরু হলো
মজিদ বেপারির উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার অধ্যাপক ফরহাদ রেজাকে দিলেন তার উপজেলার সঠিক মুক্তিযোদ্ধা নির্নয় করার জন্য।তিনি প্রথমে মজিদ বেপারির নাম ঠিকানা দেখে চমকে উঠেন।তারপর বলেন,
শালা মুনাফিকের বাচ্চা, ১৯৭১ সালে ছিলো "রাজাকার"শান্তি কমিটির মেম্বার আর এখন হয়েছিস মুক্তিযোদ্ধা, দেখাচ্ছি মজা।অধ্যাপক ফরহাদ রেজা তাৎক্ষণিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা থেকে তার নাম কেটে রাজাকারের খাতায় লিখে দেন।তারপর সরকারী ভাবে মামলা দায়ের করা হয়।পুলিশম্যান আর দেরী করলো না।দ্রুত এসে তাকে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যত হলো।তখনি জনগন ক্ষেপে উঠে বলে,
উনার মতো একজন ভালো মানুষকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?তাছাড়া উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা,ভালো দেশ প্রেমিক।উনার মতো লোককে এত বড় অপমান।
আমরা মানি না, মানবো না,উনাকে ছেড়ে দিন।
জনগন খুব উত্তেজিত হয়ে উঠল।তখনি পুলিশম্যান বলল,
আপনারা থামুন, আর যদি কোন হট্টগোল করেন আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হব।আপনারা উনাকে যতটা ভালো মানুষ ভেবেছেন।উনি ততটা ভালো নয়।উনি মুক্তিযোদ্ধা নয়,উনি রাজাকার, এবং "একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা"।আমরা আইনের লোক।আমাদের দায়িত্ব আমাদেরকে করতে দিন।এরপর ও যদি আমাদের কাজে বাধা প্রদান করেন, আমরা সরাসরি গুলি করবো।জনগন গুলির ভয়ে সরে গেল।মজিদ বেপারিকে নিয়ে যাওয়া হলো।মুক্তিকামী কিছু মানুষ বলল,
আমরা বলেছি না, বাংলার মাটি ও মানুষ কখনো রাজাকারকে ক্ষমা করবে না।আজ হোক কাল হোক "রাজাকার" ধরা পড়বে। আজ সকল মিথ্যার বেড়াজাল ছিন্ন করে আসল সত্য উম্মোচিত হলো এবং "রাজাকার" ধরা পড়লো।গর্বিত বাঙ্গালি জাতি, গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা।
