এখানেই উইয়ের ঢিবির উপর নিশিন্দার গাছের ছায়ায়
কৈশোর মিশে যেত।কার্তিকের রঙচটা রোদে স্নানশেষে
ফিচকুলে পাখি এসে বসতো ওই অচেনা গাছের ডালে।
বিকেলে কুয়াশার গন্ধে ধানক্ষেতের সবুজ ডগায় দোল
খেতো কিশোরীর প্রেম।নিশিন্দা বনের ছায়া প্রলম্বিত হয়ে
মিশে যেত কিশোরীর গায়ে।
কী এক অব্যক্ত মাদকতায় বিকেলের ছায়ানৃত্য
অচেনা গাছের মগডালে পাখিদের প্রেম জমে উঠে।
কখনও রাখালের মুখে সাঁঝ বেলার বাঁশি,হাটের গনগনে শব্দে দিগন্তে মিলায়। স্বাস্থ্যহীন নদীর জলেও শিশুপায়ে বেঁজে যায় নূপুরের ধ্বনি।ঘাট ফেরা বধূদের পরচর্চার অস্পষ্ট সংলাপ।
ইউয়ের ঢিবি গুলো আজ নিরন্ন মন্বন্তরের নির্মম শিকার
বাতাসে কেশর দোলানো সবুজ নিশিন্দার প্রজন্ম বিলোপ
সেখানে বিকালের ছায়া আজও প্রলম্বিত হয়ে সন্ধ্যা ডাকে
দানবিক সুরম্য প্রসাদের ছায়া, প্রসাধনহীনা নির্লজ্জ যুবতীর মত। শিশিরের গায়ে আজ উৎকট কীটনাশকের গন্ধ।বাতাসে ধানীলঙ্কার গুড়ো ছড়ানো, যান্ত্রিক প্রলাপ।
আগস্ট ১০,২০২২
জামালপুর।
বর্ণপ্রপাত কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete