কি ভীষণ চেনা অচেনার মোড়কে সদাই ভূতেদের নৃত্য
রূদ্ধ হয় কন্ঠ মোর আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে সন্ত্রস্ত চিত্য।
ঘুটঘুটে আাঁধারে মুখোশের আড়ালে যারা ঘুরে বেড়ায় বৃত্যের বাইরে
তাদের সঠিকভাবে চিনতেই লেগে গেছে সময় শতাব্দী-,হায়রে!
যারা একদা তোমার আশ্রয়েই পরম যত্নে উঠেছে নির্ভয়ে বেড়ে,
আজ তাদেরই তান্ডপ নৃত্যে ভয় জমেছে তোমার মনের ঘরে।
এরাই কি তাহলে এতকাল ব্যাপি ভেঙেছে গড়ে তোলা সমাজ?
গড়েছে বিশ্ব জুড়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির অশুভ গুন্ডারাজ??
এদের ভয় পেয়ে আর কতকাল থাকবে লুকিয়ে শঙ্কিত অন্তরে?
দেওয়ালে পিঠ গেছে ঠেকে তাই বুক ঠুকে এসো বৃত্তের বাইরে।
প্রতিবাদের ভাষায় চাবুকের ডগায় উগরে দাও মনের যত ক্ষোভ,
বুকের ভেতরে জমে থাকা আগুনে পুড়ে যাক ওদের সব লোভ।
তোমার সংখ্যাটা যেদিন ছাড়িয়ে ছুঁয়ে ফেলবে অসীম আকাশের উচ্চতা,
সেদিন তোমার নীলে উড়বে সবাই ডানা মেলে ঘুচিয়ে যত রিক্ততা।
দুর্বিনীতদের বাঁধন থেকে ছিনিয়ে নিতে হবে এই সমাজের রাশ?
চলো আজ মানব শৃঙ্খলে ফিরিয়ে আনি সুপ্তিতে থাকা সুস্থ নিশ্বাস।।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
আমি, শ্রী মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পেশায় একজন বাংলা মধ্যম উচচ বিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের গণিত শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য চর্চার প্রতি অপরিসীম উৎসাহ আজ আমাকে আপনাদের সকলের সান্নিধ্য পেতে সাহায্য করেছে। আমার প্রথম লেখা ভ্রমণ কাহিনী আমারই বিদ্যালয়ের নিজস্ব পুস্তিকা ' বাতায়ন'-এ প্রথম মুদ্রিত হয় যখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠরত। বর্তমানে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিনিয়তই আমার লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকে। আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে আপনাদের সকলের হৃদয়ের আকাশকে ছুঁতে চাই।।