স্মৃতিতে চাঁদপুর।। জয়নাল আবেদিন

 


সময়টা ২০০৫এর অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রতি বছরের ন্যায় সে বছর ও আমরা জনা ষাটেক মানুষ একটা ট্রাকে চেপে রওনা দিলাম নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্য,গন্তব্য  চাঁদপুর। সকাল নয়টা মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে  এম ভি মহারাজ লঞ্চে উঠে রওনা দিলাম চাঁদপুরের মতলব থানার শাহপুর লঞ্চ ঘাটকে লক্ষ্য করে। শ্রীকান্ত বইটিতে রেঙ্গুন যাত্রার একটি বর্ননা আছে আমরা যেন ঠিক রেঙ্গুন যাচ্ছি। লঞ্চে উঠে  যে যার মত করে নিজের বসবার জায়গাটুকু চিহ্নিত করে নেই। একটি নিদিষ্ট সীমানা বেষ্টিত স্থান যার সাথে বাইরের বিপুল জনতার যোগসূত্র ছিন্ন। এই সংকীর্ণ এবং স্বতন্ত্র গন্ডি গুলোর মধ্য থেকে আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়া চাওয়ী করি এবং এমনকি আমাদের মধ্যে মৌখিক বন্ধুত্ব ও হয়। আমাদের দলের অধিকাংশই ছিলাম লঞ্চ ভ্রমণে নতুন তাই বুড়িগঙ্গা পার হয় আমরা যখন বড় নদী গুলোতে পড়লাম তখন বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে দোলছিল লঞ্চ আর কেঁপে ওঠছিল আমাদের হৃদয় ভীত সম্বস্ত্র হয়েছিলাম অনেকেই। 

যাই হোক দুপুর ১২.৩০ এ এসে লঞ্চ ভিড়লো শাহ পুর লঞ্চ ঘাটে। নতুন জায়গা আর নতুন কতগুলো মানুষের সঙ্গে আমরা যে জায়গাটিতে কাজ করতাম তার আশেপাশে ছিল শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গ্রাম তাদের সাথে আমাদের সখ্যতা হলো,হলো হৃদতাও  কারণে অকারণে বিরক্ত করতাম তাদের। জোলন দি, সুখনের মা বউদি, রথীন্দ্র মাষ্টার কাকা, (যিনি চিলমারী এসেছিলেন একাধিক বার) ও মাহিন্দ্র দাদা, (যার বাড়ীতে মুড়ি চানাচুরের আড্ডা হতো প্রায়) ছাড়াও আরো অনেককেই। 

জানিনা তারা এখন কোথায় আছে কেমন আছে। 

টানা ছয় মাস ছিলাম সেখানে আসার সময় অকারণেই চোখ ভিজে যাচ্ছিল সেদিন। 

একটা ইদ ও করেছিলাম সেখানে আজকের মতো সেদিন সৌদি আরবের সাথে তাল মিলিয়ে ইদ হতো না চাঁদপুরের ঐ গ্রামে।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।