আজকের রাতটা খুব অস্থিরতা আর চিন্তার মধ্যে কাটিয়েছি।কারন সকাল হলেই নিজ বাসা ছেড়ে অনত্র চলেযেতে হবে।গাড়ি ঠিক করা রয়েছে মালসামানাও গুছগাছ করে রাখা হয়েছে।বাসা পরিবর্তণ একটা বিরুক্তিকর কাজ।
ফজর পড়ে আর শোয়া হয়নি।ভোার বেলায় বাড়ির সামনে ফুল গাছে পানি দিচ্ছিলাম।হঠাৎ দেখি পাশের বাসার দাড়োওয়ান আব্দুল লতিব কে একটু অন্যমনস্ক অসাভবিক লাগছে।আমার ওয়াইফ বিষয়টি লক্ষ্য করেছে।
-কি ব্যাপার আব্দুল লতিব ভাই আপনাকে এমন লাগছে কেন কিছু হয়েছে?
-না না কি হবে কিছু হয়নি।তা-পনারা আজকে চলে যাচ্ছেন শোনালমা। -
-হ্যা ঠিক শোনেছেন।লামিয়া কোথায়?দেখছিনা যে।
কোথাও হবে হয তো।
যাাই বল মেযেটি খুব মিষ্টি,সারাক্ষণ আন্টি বলে ডাকে।
ওয়াইফ বললো।
-সত্যি মায়া হয় অর জন্য।গতকাল বিকালে কাঁদতে দেখে জিগেস করলাম কি হয়েছে কাদঁছো কেন?
-আব্বু ঝালমুড়ি কিনে দেয়নি।আমি ঝালমুড়িওয়ালাকে ১০টাকা দিয়ে বললাম অকে ঝালমুড়ি দিতে।
বেশ তো ভাল করেছো এখন চলো গাড়ি এসে যাবে।
দুঃখের বিষয় হলো গাড়িওয়ালা সঠিক সময় এলোনা য়খন এল সাথে কোন লেবার নেই। আমি রাগ করে ফিরিয়ে দিলাম।
ওয়ইফভিষন ভাবে রেগে গিয়ে-
এই মুহুর্ত্যে গাড়ি কোথায় পাবে ?
সব কিছু গুছিয়ে ফেলেছি এখন না যেতে পারলে কি হবে?
-আপা শোনেছেন দারোযানের বউ মারা গেছে।
কি বলছেন একটু আগেও তো দারোওয়ানের সাথ কথা হলো কই সে তো কিছুবললো না।
-ও কি বলবে ওর খামখেয়ালিতেই তো মরেছে
বেচারী।
রাতেই মরেছে ও বলছে কিছুই জানেনা। কয়েকদিন ধরেই দুজনের তুমুল ঝগড়া চলছে। অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখায়নি সারামজাদা।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল ইন্না লিল্লাহে অইন্নাইলাইহি রাজিওন।
আমার ওয়াইফ তারাহুরা করে দেখতে গেল।মহিলা মানুষ তাই আমি না গিয়ে বাসায় ভিতর চলে গেলাম।
ঘন্টা দুই পর জানাজায় শরিক হলাম।
ছুট্ট মেয়েটির দিকে তাকানো যায়না।তার দুচোখে পানি নেই আমার বাসার গেটের সামনে নিথর দাড়িয়ে।আমাকে দেখে:
-আন্কেল ওরা মাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে ? সাদাকাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছে কেন?আমার মুখে কোন জবাব না পেয়ে দৌড় দিয়ে পিতার কাছে চলে গেল। মনে মনে ভাবলাম লামিয়া হয়তো জিনাইদাহ নানা বাড়ি চলে যাবে। প্রতিদিনের মত আর হাজার প্রশ্নবানে বিরক্ত করবে না কাউকে।আমি কখনো বিরক্ত হতামনা বরং ভালই লাগতো। লামিয়ার মাসুম চেহারা আর শিশুসূলভ পশ্ন আমাকে আনন্দিতই করতো।
আর কখনো বলবেনা আন্কেল আন্টি কোথায়? চকলেট ঝালমুড়ি খাবো।আল্লাহ ওর মায়ের আত্মার শান্তি দিন এতিম মেয়েটির ভরন পোষনের দায়িত্ব আল্লাহ তার কুরাতি হাতে নিয়ে নিন।