সেই গন্ধটা
পারফিউমের গন্ধটা অনেক দিনের চেনা,
দক্ষিণের দরজাটা আজ বোধ হয় খুলে গেছে
নিঃসঙ্গতায় ভরা মনে
চাপা অন্ধকার বয়ে বেড়ায়
অনুভবে অস্তিত্বের স্বাদ
আজ যেন পেয়ে বসেছে
রক্তপলাশের রক্তিমতায় ভরে ওঠে মন
এখন এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাস চাই
এক মুঠো ঝরাপাতা নিতে নিতে
শয্যায় আঁকিবুকি খেলে আলপনার ছন্দ
কে যেন বসন্তের আবির রং মাখিয়ে দেয় মাথায়
ছুঁলো মনের প্রান্তর, উঁকি মারে আকাশে
চোখে অশ্রু জলের বন্যা বয়
তবুও দেখি পরশপাথরের ছোঁয়া লাগে
তুমি এসেছো আজ এখানে
তাই চন্দনী পারফিউমের গন্ধটা
আজ ফিরে এসেছে ঘরে।।
মনে পড়ে
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না পথ চলতেও
তবুও চলতে খুব ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে সামনের দিকে এগোতে
ইচ্ছে করে পিছোতেও
তোমার সাথে হাতে হাত রেখে পথ চলতে
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে
কিছু কিছু সময় হারিয়ে ফেলি পথও
আসলে ফেলে আসা কালের পথে
আজও খুঁজে পাই নিজেকে
খুঁজে পাই তোমাকে
এই পথের কাছে রোজই কত কিছুই না শিখি
তবুও কেন জানি না মাঝে মাঝে বড্ড
অচেনা লাগে এই পথকে
একলা চলার পথে
পথের সাথে কথা বলতে বলতে
কানে কানে বলে যায়–
কাঁকড় বিছানো পথে হাঁটার অভ্যাস রাখো।।
শশীভূষণ বোস রোড
রাধানগর পাড়া
পূর্ব বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গ
ভারতবর্ষ
৭১৩১০১