একদিন বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
নরম ঘাসে পা ফেলে হেঁটে যাবো বহুদূর।
কোনো এক শীতে, মিষ্টি রোদের সোনা মেখে বসবো নির্জনে,
দুটি মন নিরবে কথা কবে, চোখই শুধু মনের ভাষা হয়ে রবে।
বসন্তের এক মিষ্টি বিকেলে খেলবো ফুলেল হোলি,
মনের রঙেতে রাঙবো দুজনায়,
শুধু বসন্ত সাক্ষী হবে, জানবে মনের কথাগুলি।
একদিন বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
নরম ঘাসে পা ফেলে হেঁটে যাবো বহুদূর।
গ্রীষ্ম যখন ছড়াবে দাবদাহ, তৃষ্ণার্ত চাতক যাচবে বারি,
তখন সেই তৃষ্ণার এক আঁজলা জল হবো,
মনের সলিলে ভেজাবো, মনের যতো অলিগলি।
একদিন সেই বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
যেদিন বৃষ্টি মনকেমনের বার্তা পাঠাবে ঘুমোট মেঘের সনে।
মেঘ গর্জনে বোঝাবে মনের ক্রোধ,
দামাল বৃষ্টিতে ঝরাবে অভিমান
সেদিন ঐ বৃষ্টিকে গায়ে মেখে, মনের উষ্ণতায় শান্ত করবো তাকে।
অভিমান কেটে উঠবে রামধনু,
সাতরঙে অনুরাগের গল্প লিখে।
একদিন বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
নরম ঘাসে পা ফেলে হেঁটে যাবো বহুদূর।
শরতের ঐ কাশের বনের মাঝে ইচ্ছে করেই পথ ভোলা পথে হারাবো,
যেখানে শিউলিরা ঝরে পড়ে, মনের খুশিতে টুপটাপ অবিরত।
চারিদিকে এতো কোলাহলের মাঝে খুঁজে নেবো এক নিরালা দুপুর,
যে দুপুরে পিয়ানোর সুরে সুরে ভাসবে এলোমেলো কবিতার কিছু পাতা।
একদিন বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
নরম ঘাসে পা ফেলে হেঁটে যাবো ঐ দিগন্তরেখায়।
নিস্তব্ধ রাত যখন করবে অবগাহন সফেন জোৎস্নায়,
পিউকাঁহা পাখি ডাকবে পিয়ার খোঁজে,
মনের কথার মালা গাঁথবো সুখ মেখে,
ভেসে যাবো মায়াবী রাতের আঙিনায়।
একদিন সত্যিই বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে,
নরম ঘাসে পা ফেলে হেঁটে যাবো দূর থেকে বহুদূর।
যেথা থাকবে না কোনো ঠিকানা, নাম, পরিচয়, দস্তুর।।