সভ্যতার সূচনা সবুজ বনানীর হাত ধরে, আকাশ বাতাস মুখরিত অচেনা সেই স্রোতে। প্রবহমান সেই স্রোতের ধারা আজও বয়ে চলেছে গতিময় ছন্দে। সভ্য সমাজ উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে আজ।
তবুও মানুষ থেমে থাকেনি, ভাবছে শুধু উন্নয়নের কথা। বিজ্ঞানের উন্নতি আজ দিকে দিকে। আবিষ্কারের পর আবিষ্কার দেখতে দেখতে আশ্চর্য হয়েছে মানুষ। সেই আদিম মানুষের কথা ভাবলে অবাক হতে হয় । গাছের ছাল পরিধান, তারও আগে শিকড় বাকড় ফল মূল একমাত্র আহার ছিল মানুষের। সেই মানুষ আজ কোথায় উঠে এসেছে। এই উন্নতির জন্য সময় লেগেছে অনেক। অনেক সাধনা, অধ্যবসায় ও গবেষণার ফল স্বরূপ আমরা আজ পৌঁছেছি উন্নতির শিখরে। শিখরে বললেও ভুল হবে, কারন উন্নয়ন যে আর আসবে না বা হতে পারে না একথা হলপ করে বলা মুশকিল। বিজ্ঞানের উন্নতি আজ দিকে দিকে। বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে তার জয়যাত্রা রোধ করতে পারে একমাত্র বিজ্ঞান নিজেই। যে কোন জিনিসের দুটি দিক বিদ্যমান। এক ভালো দুই মন্দ। বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত অস্ত্রেই হয়তো একদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। অবশ্যম্ভাবী এই যন্ত্রনার হাত থেকে, মুক্তি পেতে পারে না সমাজ। কারন যার জন্ম আছে মৃত্যুও তার অবশ্যম্ভাবী। কবির ভাষায় বলা যায় "জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে।' তাই মৃত্যু হবে একদিন এই সুন্দর পৃথিবীর, মৃত্যু হবে একদিন এই সভ্যতার---বিজ্ঞানের হাত ধরেই। যে মৃত্যু হবে অবধারিতভাবেই কারন এখনও পর্যন্ত সে আবিষ্কার হয়নি যা দিয়ে রোধ করা যায় মৃত্যু কে। আমরা কেউ অমর নই। অমরত্ব আমাদের দাস নয়। যখন সময় হবে তখন সে এগিয়ে আসবে মানবে না কোন বাধা। বিজ্ঞান এখানে এখনো সে ভাবে থাবা বসায় নি বা বসাতে পারেনি। তাই মৃত্যু এখনো অজেয় বিজ্ঞানের কাছে। বিজ্ঞান দিকে দিকে রণ ভেরি বাজিয়ে চলেছে অনায়াসে। তার জয় যাত্রার রথ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানের মানসপুত্র বিজ্ঞানী কুল।