প্রিয়-বাবা
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছো বাবা, আশা করি প্রবাসের মাটিতে একপ্রকার ভালোই আছো। আমরা ও ভালো আছি। আমি যখন ছোট ছিলাম
তুমি নাকি আমাকে অনেক ভালোবাসতে তোমার চোখের মণি ছিলাম। তোমার কোলে না নিলে নাকি আমার কান্না থামানো যেতোনা। তুমি সারাক্ষণ আমাকে তোমার কোলে আর কাঁধে চড়িয়ে বেড়াতে তোমাকে নিয়ে আমরা অনেক সুখেই ছিলাম। হঠাৎ তুমি সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের কে আরো সুখে রাখার জন্য তুমি প্রবাসে যাবে আর অল্প কদিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা হয়ে গেলো আমাদের ছেড়ে তুমি দূর প্রবাসে পাড়ি জমালে, তখনও আমি কিছু বুঝিনি আর আমি বুঝে ওঠার আগেই তুমি চলে গেছো। জানো বাবা, এখন আমি অনেক বড় হয়ে গেছি সবকিছু বুঝতে শিখেছি। মাঝে মাঝে আম্মুর কাছ থেকে আমাকে নিয়ে তোমার স্মৃতিকথা শুনি। আমি এখন স্কুলে যাই আম্মু আমাকে নিয়ে যায়। জানো বাবা, সকাল বেলা সব ছেলেদের বাবা এসে নাস্তা দিয়ে যায়, আমি ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি। আবার যখন বিকেল হয় সবাই বাবা-র সাথে মাঠে খেলতে যায়, খেলা শেষে আবার নিয়ে আসে তখনও আমি তাদের দিকে তাকিয়ে থাকি আর তোমাকে মিস করি আজ যদি বাবা তুমি আমার পাশে থাকতে তাহলে আমিও সবসময় তোমার সাথে খেলাধুলা করতাম খুব মজা হতো। আমি মাঝে মাঝে আম্মু কে বলি, আম্মু তুমি শুধু একবার বাবাকে বলো দেশে চলে আসতে নাহয় ছুটিতে আসতে তখনই আম্মু আমাকে একটা ধমক দিয়ে বলে চুপ থাকো এখন তোমার বাবা দেশে আসলে কি খাবা? তখন আমি বলি এখন যেখান থেকে খাই তখন সেখান থেকেই খাবো।
জানো বাবা, যখন রাত হয় তখনই আম্মু তোমার সাথে কথা বলে আমি শুনি তুমি আর আম্মু আমার কথা বলে দুজনেই কাঁদো, আমি জানি তোমরা দুজনেই আমাকে অনেক ভালোবাস তাই আম্মু আমি ঘুমিয়ে গেলে আমার কপালে চুমু দিয়ে বলে আর ক'টা দিন অপেক্ষা করো বাবা তোমার বাবা আসবে। তুমি কবে আসবে বাবা আমি তোমার পথ চেয়ে থাকি কখন সব ছেলেদের মতো আমি তোমার সাথে হাসি আনন্দে ঘুরে বেড়াবো। থাক বাবা আজ আর কিছু লিখবো না, তোমার অপেক্ষার পথ চেয়ে এখানেই শেষ করলাম। অনেক ভালো থেকো বাবা তুমি। আই লাভ ইউ বাবা,আই মিস ইউ।
তোমার আদরের সন্তান
অনন্ত আব্দুল্লাহ।