পথিক, চলো ধীরে ধীরে আলতো পায়ে হেঁটে,
ফিরে দেখ পায়ের চাপে ঘার গেছে মোর ফেটে।
নিশিত- রাতে শিশির বিন্দু করিয়েছে যে স্নান,
সকাল শেষে তীব্রতাপে যায় বুঝি মোর প্রাণ।
ফিরে দেখ পায়ের চাপে ঘার গেছে মোর ফেটে।
নিশিত- রাতে শিশির বিন্দু করিয়েছে যে স্নান,
সকাল শেষে তীব্রতাপে যায় বুঝি মোর প্রাণ।
কোমল পাতায় শিশির বিন্দু পড়ছে চুয়ে চুয়ে,
মোর শরীরের বালুকণা যাচ্ছে সব-ই ধুয়ে।
দেখ না পথিক, আমরা কেমন ফুল কুঁড়িরা সাজি,
ভ্রমর-তরে মধুগুলো সব বিলিয়ে দিতেও রাজি।
শীতল হাওয়ায় দুলছি সদা আপন হৃদয় খুলে,
পথের ধারে সাজিয়েছি শপ, কত রঙ্গিন ফুলে!
গরল পায়ে ওরে পথিক ধীরে ধীরে চলো,
পায়ের ছাপে প্রাণ বুঝি এবার চলে গেলো।
মাঠের মাঝে, পথের ধারে সবুজ রঙে সাজি,
মোদের জরা বুঝলো না ওই দরগা ঘাটের মাঝি।
তবুও পথিক আস্তে চলো আমার উপর দিয়ে,
লাভ কী বলো ছোট্ট তরুর ছোট্টো প্রাণ নিয়ে?
শিক্ষার্থী,
ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগ,
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম।