সেদিনের মৃত্যুই হয়তো-বা শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত হত এই পৃথিবীর বুকে,
কেননা যে নারী আমাকে জন্ম দিয়েছে, সহ্য করেছে এত ব্যথা,
আমি তো সে নারীকেই একদিন কষ্ট দিব,
এই পৃথিবী থেকে দেওয়া সকল কষ্ট আমাকে তৈরি করেছে একটি ভয়ংকর বোমা রূপে।
আমি তো শিখেছি তোমাদের কাছ থেকে,
আমি তো দেখেছি শিকারি তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য চিত্রাকে কিভাবে বধ করে,
দেখেছি আগুনে পুড়িয়ে তার মাংস ভক্ষণ করতে।
আমি তো একদিন পৃথিবী ধ্বংস করব,
যার হাতিয়ার হবে ভালোবাসার পেছনে লুকিয়ে থাকা লালসা,
চুম্বন হবে বুলেটের চেয়েও ধারালো।
রাত শেষে প্রত্যেকটা খাট হবে এক একটা শ্মশান, দিনশেষে প্রেয়সীর নিকট শান্তি খুঁজতে যাওয়া প্রত্যেকটা মানুষ হবে মৃত।
আমার অস্ত্র হবে আকাশে উড়ে বেড়ানো কবুতর,
যে আকাশ থেকে ভালোবাসার পরিবর্তে ভূপৃষ্ঠে ফেলবে এক একটি মিসাইল,
সেদিন শেষ করে ফেলব সব দুঃখী মানুষের আর্তনাদ।
আমাকে কি কোন দেবতা মনে হচ্ছে?
অথবা আলেকজান্ডার চেঙ্গিস কিংবা হিটলার?
না-কি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী অথবা কোন এক দেবতার দেবতা?
আমি তো শিখেছি তোমাদের থেকে।
মৃত মানুষের আর্তনাদ তোমাদের ভালো লাগে,
ভালো লাগে ছেলেহারা সেই পিতার আর্তনাদ।
আমি তো শিখেছি তোমাদের কাছে মৃত পথযাত্রীর সামনে পৈশাচিক হাসি দিতে।
একদিন আমিও হাসবো পৈশাচিক ভাবে।
ধ্বংস করব এই পৃথিবী।
পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে দুঃখ!
শিক্ষার্থী,
ইংরেজি বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।