সাবালক হবার আগেই তুমি, আমি, আর আমরা সকলে মরে যাই,
তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে দাঁত ব্রাশ করি, চোখ-মুখ ধুই।
জানালা খুলে দিলে একঝাঁক পাখি তীব্র আলোর পথে পৃথিবীর দিকে
উড়ে যায়। গামছা খুঁজি- রাতেই আলনায় রেখেছিলাম সে খুঁটিনাটি
অলিখিত জীবন। পালক, কালি গুছিয়ে রাখি হাতে খড়ির জন্য, আর
গামছা না পেয়ে নিচতলায় আসি - প্রাচীন অজপাড়াগাঁ, শীতল খুঁড়ে
সিন্দুক থেকে পুরানো দলিল-দস্তাবেজ, বংশ পরম্পরার সোনার
গয়না, হিরে-মানিক সব ছড়িয়ে ফেলি। গামছা কোথাও খুঁজে পাইনা।
দোতলায় যাই, আবার নিচতলায় ফিরি, দেখি- গামছা আমার কাঁধে ;
জীবন এমনই শিশু- শুধু সারাবেলা জ্বালিয়ে মারে একটু বড় হবার জন্য!