বিনিময় ।। স্বপন জায়দার


 

" মুখপুড়ি - বজ্জাতি তোকে তো আগেই বলেছিলাম এ বাড়িতে পা রাখবি না । সোজা হাসপাতাল থেকে ই বিদায় হবি। "

ঊনষাটের বিধবা বুড়ি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে;  সবে হাসপাতাল থেকে পাঁচ দিনের শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘরের দরজায় পা রাখতেই শাশুড়ি ঢুকতে দিল না। মাথা নত করে দু-হাতে হাসপাতালের কাগজপত্র ও কিছু জামাকাপড়  ভরাব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বনশ্রীর ভাই। এই অবস্থায় বাপের বাড়ি ফিরে যাবে তার সামর্থ্য তার নেই যেটুকু পয়সা দিয়ে বনশ্রীর স্বামী হাসপাতালে মেয়ের মুখ  দেখে নিজের কাজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তাও শেষ হয়ে গেছে।

অভাবী ঘরের মা হারা, বাবা ভাইকে নিয়ে কায়- ক্লেশে দিন কেটে যাচ্ছিল বনশ্রীর। স্কুলের দৌড় উচ্চ মাধ্যমিকে থামিয়ে মামার আনা গুজরাটে সোনার কাজ করে পাত্র সুধাংশু-র সাথে ঘর বাঁধে তা আজ প্রায় তিন  বছর হলো। ঘটক বনশ্রী বাবাকে বুঝিয়েছিল একমাত্র ছেলে আর বিধবা বুড়ি ছোট্ট সংসারের আপনার মেয়ে বনশ্রীর কোন অসুবিধা হবে না কিন্তু একটাই কাজ থাক। বিধবা বুড়িকে যত্ন আত্তি করা। ছোট সংসার দেখেই বনশ্রী বাবা ভাই বিয়েতে রাজি হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে দিন বদলের পালা আসে। শাশুড়ির অত্যাচার দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। বনশ্রী যে বাপের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেবে তাও সম্ভব না। যখন সন্তানসম্ভবা হলো তখন শাশুড়ি র বাপের বাড়ি চলে যেতে বললেন, " শোনো বৌমা আমার আর সুধাংশু র কিন্তু  ছেলে চাই , কুল রক্ষা। আর যদি মেয়ে হয় তাহলে এ বাড়ির দরজা চিরদিনের জন্য  বন্ধ। " 

বনশ্রী বলেছিল,"মা আপনি তো জানেন আমার বাপের বাড়িতে কোনো মেয়ে নেই, এই সময় একটা মেয়ের পাশে আর একটা মেয়ের বিপদ আপদে দরকার। তাছাড়া আমার বাবা র আয়-উপার্জন তেমন নেই। তাই না যাওয়াই ভালো। আর  এখানে তবু আপনি  আছেন। "

বনশ্রীর কথার কোনো গুরুত্ব তো পেলোই না। উল্টে ,সে কথার উত্তরে বেশ কিছু গালাগালি শুনে    কাঁদতে কাঁদতে   ভগবানের কাছে পুত্র সন্তানের 

প্রাথর্না  করতে করতে বাপে বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছিল । কয়েক মাস থাকার পর হাসপাতালে একটা কন্যা সন্তানের জন্ম দিল বনশ্রী । বাপের বাড়ি যাবার সময় বারবার  বলেছিল , যদি মেয়ে হয় তাহলে আর এই বাড়িতে পা রেখোনা কথাটা মনে থাকে যেন কথাটা মনে ছিল বনশ্রী। তবুও নিরুপায় হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই হাসপাতাল থেকে সোজাসুজি পা রাখতে চাইলো। কিন্তু শাশুড়ির যুদ্ধ মেজাজ অসভ্য গালাগালি শুনে দাঁড়িয়ে কান্না করা ছাড়া আর কোনই পথ খোলা ছিল না দুপুর রোদে বাচ্চাটাকে নিয়ে কোথায় যাবে কি করবে ভাবতে থাকে বনশ্রী সহসা বনশ্রী ভাই বলে ওঠে চল দিদি যে করে হোক বাড়ি যাই আমার কাছে কিছু পয়সা আছে যাওয়ার ভাড়া হয়ে যাবে। বাড়ির পথে পা বাড়ালো ওরা। 

                           (২)

"জয় তারা-জয় শিব শম্ভু " সন্ন্যাসীর হুঙ্কারে মাথার কাপড়টা চাপিয়ে পিছনে তাকালো বনশ্রী। সুদর্শন লাল বস্ত্র পরা এক সন্ন্যাসী বাড়ির সদরে দাঁড়িয়ে। তাড়াতাড়ি গিয়ে সন্ন্যাসী কে ভক্তিপূর্ণ প্রনাম করে। সন্ন্যাসী বনশ্রীর দুই কাঁধ ধরে দাঁড় করিয়ে বলে ওঠে, "বল দেখি তোর জীবনের কোন দিকটা, কোন দিনটা সুখের ছিল । তুই যে বড় দুখী অসহায়। তোর স্বামীর ঘর দুর্বিসহ।  শ্বশুর বাড়ির সুখ থেকে তুই বঞ্চিত কারণ বৃহস্পতি তো সহায় থাকলেও শুক্র তোর নিচে। এই যে তুই বেঁচে আছিস তা কেবল মঙ্গলের সহায়তায় । তোর জীবনে সুখ নেই  তো বনশ্রী। "

বনশ্রী হাত জোর করে সন্ন্যাসীকে বলল,"প্রভু আপনি আমার নাম জানেন? বাড়ির ভেতরে আসুন।" 

সন্ন্যাসী বলে ওঠে -" পুরুষ শূন্য গৃহে আমার প্রবেশাধিকার নেই যে।  তোর বাবা এখন কাজে গেছে। ভাই এখন নেই। তোর কন্যাসন্তান   ঘরে ঘুমাচ্ছে। আর এই বাড়িতে কাল দোষ আছে আমি তো এখানে বসতে পারব না।"

বনশ্রী অবাক হয়ে যায়, সাধু বাবা যা বলছেন সব হুবাহু মিলে যাচ্ছে। কিভাবে ? বিস্ময়  চোখে প্রশ্ন করে, " আপনি যা বলছেন সবই তো ঠিক ? কি ভাবে আপনি জানলেন? সাধুবাবা মুচকি হেসে বলে ওঠেন," ওরে আমি অন্তর্যামী। হিমালয়ে ১৫ বছর সাধনা করেছি। তারপর তোদের এখানে অবতীর্ণ হয়েছি। তোর মনের কথা আমি সব জানি।"

বনশ্রী অবাক হয়ে বলে ওঠে," বাবা এর  প্রতিকার কিছু নেই ? আমি যে আর পারছি না।" সন্ন্যাসী বাবা আবার হুংকার দিয়ে বলে ওঠে," জয় তারা জয় শিব শম্ভু। সে অনেক কঠিন কাজ রে। তুই পারবি কালনাশ যঞ্জের কলা আর গোমূত্তি এই বাড়ির ঈশান কোণে সোয়া হাত গভীরে উপস্থাপন  করতে হবে।  তবেই মঙ্গল ফিরে আসবে। সুখের আলোয় ঝলমল করবে, তোর জীবন। তুই পারবি না । আমি চললাম…." বলেই সাধু বাবা  চলে যেতে চায়। 

বনশ্রী ছুটে আসে। বলে ওঠে," বাবা তুমি তো জানোই অর্থ ছাড়া ভক্তি ,বাসনা ,শক্তি,ইচ্ছা  সব আছে আমার।" 

সাধু বাবা থমকে দাঁড়ায়। ঘুরে বলে," বেশ তুই যদি পারিস তাহলে আমার আশ্রমে আয়। আগামী অমাবস্যা নিশিতে আমি মায়ের পূজা করবো। " বনশ্রী বলে ওঠে," আপনার আশ্রম কোথায় ? আমি নিশ্চয়ই যাবো।"

 সাধুবাবা বলে ওঠে ,বেশ। তবে যার এই কাল  দোষ যার আছে কেবলমাত্র তাকেই যেতে হবে। আর কেউ সেখানে প্রবেশ করলে কর্মফল শূন্য হবে। কিন্তু আমার যে এক শিশু কন্যা আছে তাকে নিয়ে যাওয়া যাবে না।"

 বাবা সাধু বাবা গম্ভীর স্বরে বলে ," না । সেই জন্যই তো বলেছিলাম এ কঠিন কাজ তুই পারবি না।"

 বনশ্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ," আমি পারবো । আমাকে পারতেই হবে।তোমার আশ্রম কোথায় বল ?" 

সন্ন্যাসী আশ্রমের ঠিকানা বলেই আবার হুংকার দেয় "জয় তারা-জয় শিব শম্ভু "


                            (৩)


সেদিন শনিবার। বনশ্রী র মা মারা যাবার পর পাশের বাড়ির জয়া কাকিমাকে সে মায়ের মতই ভালোবাসতো আর নিঃসন্তান কাকিমা বনশ্রী কে নিজের মেয়ের মতোই বিপদে আপদে আগলে রাখত। বনশ্রী ঠিক করল তার মেয়েকে কাকিমার কাছে রেখে সে যাবে সেই সন্ন্যাসীর কাছে। কাকিমাকে গিয়ে বলল।

 কাকিমা বলল ,"  আজ শনিবার অমাবস্যা এই এসিতে এই তিথিতে একা একা জানি না ভাইকে তো সাথে করে নিয়ে যেতে পারিস ভাই দূরে দাঁড়িয়ে থাকবে বনশ্রী বলল। কাকিমা সন্ন্যাসী বাবা বলেছে একা যেতে। অন্য কেউ গেলে ফল শূন্য হবে। তাই তোমাকেই জানালাম। কাকিমা বললেন। সাবধানে যাস। তোর তো শ্বশুরবাড়ির কাছেই কোন কিছু বিপদ হলে কোন কথা না ভেবে শ্বশুর বাড়িতে দৌড়ে যাবে। বনশ্রী ঘাড় নেরে সায়-দায় হ্যাঁ,বলে " তুমি ওকে দেখো কাকিমা। "

বলে বনশ্রী স্টেশনের উদ্দেশ্যে যা


ত্রা করে। দু' চোখে জল । আকাশের রং কালো। ঘুটঘুটে অন্ধকার ।একা সামান্য কিছু পয়সা আর সন্ন্যাসীর নিদ্দেশ মতো  জিনিসগুলো সংগ্রহ করে।  রেল স্টেশনে বসে আছে ট্রেনের অপেক্ষায়। সহসা কালো অন্ধকার চিরে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেনটি এলো স্টেশনে। বনশ্রী চেপে পড়ল ট্রেনে । সময় যেন কাটতে চায় না। ট্রেন থেকে নেমে এক প্রকার দৌড়ে দৌড়ে নদীয়ার শান্তিপল্লী তে পৌঁছে গেল সে। এটা তার শ্বশুরবাড়ি এলাকা যদিও সে বাইরে বের হতো না তেমন। তবু ও সুধাংশুর মুখে শুনেছে। এই অঞ্চলের বিবরণ। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে নানা কথা ভাবতে ভাবতে হাটতে থাকে। চারিদিকে এত জঙ্গল  যে কেউ দিনের বেলাতেই ভয় পেয়ে যাবে। কিন্তু বনশ্রীর ভয় পেলে তো চলবে না। তাকে কালদোষ কাটাতে হবে,মন্ত্রপুত গোমূর্তি ঈশান কোণে বসাতে হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে সে একটা বট গাছের গোড়ায় এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। দূরে একটা ল্যাম্প পোস্টের তারে ভাঙা ডাল জড়িয়ে হাওয়ায়  দুলছে।  তার ছায়া বনশ্রীর মুখে উপর পড়ছে ,যেন কোনো নরখাদকের থাবা। বনশ্রী দাঁড়িয়ে হিসাব করে দেখল, হ্যাঁ সে ঠিক জায়গায় এসেছে। কিন্তু আশ্রম কোথায়?

হঠাৎ দূরে একটা জঙ্গলের মাঝে  খড়ের চালার একটা ঘর নজরে এলো। দরমার চটা দিয়ে  তার চার দিক ঘেরা। চারিদিকে অন্ধকার।  বনশ্রী ধীর পায়ে এলো চুলে প্রবেশ করল ,সেখানে। ঢুকতে

সামনে দাঁড়িয়ে এক শশ্মান কালীর মূর্তি  , দীর্ঘদিন অযত্নে , পুজো না করা অবস্থায় পড়ে আছে ।  কোথাও কেউ নেই। নিঃঝুম, দূরে দুই একটা শিয়ালের ডাক শোনা গেল।  কখনো কখনো কুকুরের ডাক। অবিরাম ঝি ঝির ডাক ভেসে আসছে । আশ্রম থেকে একটু দূরে, একটা জায়গায় আলো  দেখা যাচ্ছে। বনশ্রী দেখলে সাইনবোর্ড দেখলো তাতে লেখা মিতালী সংঘ। দূর থেকে দেখতে গেল ভিতরে কতগুলো ছেলে । সম্ভবতঃ ক্যারামবোর্ড খেলছে । 

বনশ্রী ডাক দিল," বাবা …সন্ন্যাসী বাবা… আপনি আছেন?"  হঠাৎ তার পেছন থেকে গম্ভীর গলায়  শুনতে পেল। "জয় তারা-জয় শিব শম্ভু "এবার  বনশ্রী আশ্বস্ত হয়ে ভাবলো আর কয়েক ঘন্টা বাদেই তার কালদোষ কেটে যাবে আর তার সুখের দিন ফিরে আসবে। হয়তো কাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সে তার শাশুড়ি স্বামী সবাইকে ফিরে পাবে। একথা ভাবতে ভাবতে সন্ন্যাসী র দিকে তাকায়। বাবা ইশারা করে তার পাশে পাতা তৈরি আসনে বসতে বলে। বনশ্রী বসে সাধুবাবা আস্তে করে উঠে চলে  যায়।  বনশ্রী সবকিছু ভালো করে চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে থাকে, কালী মূর্তি পাশে একটা লম্বা খাড়া ঝুলছে। কতগুলো নর-মন্ডু কঙ্কাল পরপর সাজানো। তার পাশে মাটির যজ্ঞবেদী। তার হাত খড় বিছানো।তার উপর  কম্বল পাতা। হয়তো সাধু বাবার বিছানা।  সাধু বাবা ফিরে এলেন হাতে তার কয়েকটা জবা ফুল ; বললেন," এখনো মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়নি "  বলেই দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে এসে সাধু বাবা বনশ্রীর পাশে বসল। বনশ্রী কিছুই বলে না। আস্তে আস্তে বনশ্রী মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দেয় সাধু বাবা। এবারে বনশ্রী এক ঝটকায় তাকে সরিয়ে দেয় বলে ওঠে যে আপনি কি করছেন।  সাধু বাবা বলেন তোর কালদোষ মোচন করছি। 

 আমি তো কোন দক্ষিনা চাইনি, কেবলমাত্র আমাকে কেবল খুশি করতে হবে তোকে। আর তুই তো দিতে পারবি না। কোথায় পাবি?

 আমি সুখ ঢেলে দেবো। 

বনশ্রী বলে না, " আপনি কি ধরনের কথা বলছেন ? " সন্ন্যাসী বাবা হেসে ওঠেন বলেন , " সবকিছু কি বলতে হয় ! বিনিময়।" বলেই জড়িয়ে ধরতে যায়। বনশ্রী চিৎকার করে বলে ওঠে , " খবরদার - সরে যান, বলছি আর নোংরামো করলে আমি চীৎকার করবো।"

এক ঝটকায় সন্ন্যাসীকে ঠেলে দিয়ে উঠে পড়ে দরজাটা ধরে একটা টান মারে। দরজা খুলে যায়। বাইরে বেরিয়ে যায় ক্লাবের দিকে মুখ করে চিৎকার করে বলে ওঠে," বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও " সন্ন্যাসী সাথে সাথে  ছুটে আসে, এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার মুখ চেপে ধরে তাকে আবার আশ্রমের ভিতর নিয়ে গিয়ে,  হাত পা বেঁধে ফেলে মুখের ভিতর কাগজ কাপড় গুঁজে দিয়ে বলে ওঠে," চিৎকার করে লোক ডাকবি অত সোজা নয় ।আবার দরজা বন্ধ করে এসে ; বনশ্রীর গায়ে হাত বোলাতে যাবে সহসা দরমার তৈরী দরজাটা ভেঙে পড়ে। আবছা অন্ধকারে কতগুলো ছায়া মূর্তি দাঁড়িয়ে।  ক্লাবের পাঁচ- সাতটা ছেলে হাতে তাদের লাঠি। একজন ছুটে গিয়ে সন্ন্যাসীর কোমড়ে কষিয়ে লাথি মারে।  অন্যদিকে আর একজন বনশ্রীর হাত পায়ের বাঁধন খুলে  উদ্ধার করে। একজন বলে ওঠে আরে এ তো আমাদের সুধাংশু-র বউ যে এখন সোনার কাজ করতে গুজরাটে থাকে। সুধাংশু-র মা তো মেয়ে হয়েছে বলে বৌকে তাড়িয়ে দিয়ে ছিল। ও এখানে এলো কি করে ? 

সন্ন্যাসীকে সবাই মিলে মারতে শুরু করে। একজন 

বলে ওঠে," এই তোমার মেয়েটা কোথায়? এই ভন্ডটা আবার ওকে শিশুবলি দিয়েছে নাকি ? " বলেই সন্ন্যাসীর মুখে ঘুসি চালায়। মেয়ের কথা শুনেই রাতের অন্ধকার চিরে আকাশের দিকে মুখ করে  বনশ্রী হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে।   আর একজন বলে,  " চলো ঐ বুড়ি আর  সুধাংশু কে ও ভালো করে শিক্ষা দিতে  হবে। "

একজন বলে ওঠে, " ভন্ডটাকে এই ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে চল আগুন ধরিয়ে দিই।" আর এক জন বলে ওঠে, " না..না ওর ব্যবস্থা যা করার  করেছি।"

সহসা রাতের অন্ধকার চিরে পুলিশ ভ্যান এসে থামে। 

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।