এক প্রখ্যাত চিকিৎসককে ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুবস্থায়
ধুকে ধুকে মরতে দেখে
পার্থিব জীবনের অসারতা উপলব্ধি করা আমার পক্ষে সহজ হয়েছে,
তিনি যখন নিসাড় নির্জীব হয়ে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছিলেন
মৃত্যুর গভীর অন্ধকারে
তখন তার সুযোগ্য সন্তানেরা জমানো সম্পদের বাটোয়ারা সম্পর্কিত
ফ্যাসাদে ছিল মহাব্যস্ত।
জীবদ্দশায় তিনি অর্থ উপার্জনের ধান্দায় সর্বদা ছিলেন নিমগ্ন
স্বার্থপর পৃথিবী তাকে উপহার দিল চরম বঞ্চনা।
শহরতলীর অবহেলিত বস্তির এক গরীব মুয়াজ্জিন,
মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত আযান আর কুলি মজুরের বাচ্চাদের ধর্মশিক্ষা দিয়ে
কতইবা আয় করতেন।
তবু তার সুললিত আযানের ধ্বনি মুখরিত করত আকাশ বাতাস
বড় কষ্টের জীবন ছিল তার, তবু আচরণ ছিল প্রশান্ত এবং পরিতৃপ্ত।
একদিন সব দুঃখকে পেছনে ফেলে তার আত্মা মিশে গেল অসীম শূন্যতায়।
তার মৃত্যুসংবাদ শুনে ব্যথিত হল আপামর জনসাধারণ
শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গোরস্থানে নামল মানুষের ঢল
জনতার উষ্ণ অশ্রুতে সিক্ত হল রোদস্নাত কবরের মাটি।