খোকার মাছ ধরা
ধরতে পেরে খলসে-পুঁটি
খোকার কি যে ছোটাছুটি
যায়না থামা তারে
কোন মাছের কোথায় বাসা
খোকা জানতে পারে।
ছুটল খোকা বাড়ীর পানে
খোঁজে সবাই ছোটার মানে
খোকার হলো কি যে?
দোঁতা -দড়ি জালের খুঁটি
আনল খোকা নিজে।
সবাই দেখে খোকার কান্ড
হাতে মাছের বিশাল ভান্ড
ভান্ড মানেই হাঁড়ি,
বিধল যখন টেঙরা মাছে
আবার ছুটল বাড়ি।
খোকা আর পাখি
পাখির খেলা দিনের বেলা জমে খেলার ঘাঁটি
বনের পানে আপন মনে চলছে খোকা হাঁটি।
নিজের মনে ঘুরছে বনে, কোথায় ডাকে পাখি?
সেদিক পানে থাকছে চেয়ে অপলক দু-আঁখি।
জহুরি চোখ চিনলে সোনা যেমন খুশি হতো
খোকা তেমন কণ্ঠ শুনে আনন্দ সে যতো
কোনটা টিয়ে, ময়না পাখি শালিক ফিঙে আর
ডাহুক পাখি ডাকলে না কি! কণ্ঠ চিনে তার।
কোন পাখিটা কখন উড়ে, কখন ঝাড়ে ডানা
সকল কিছু সামন পিছু সবে খোকার জানা।
শব্দ শুনে বলতে পারে কোন পাখিটা উড়ে-
হোক না সেটা অনেক কাছে হোক না বহু দূরে।
কারণ খোকা জন্ম হতে বনের মাঝে থাকে
পাখিরা তাই আপন ভেবে নিজের কাছে ডাকে।
পাখির সাথে ভীষণ ভাবে খোকার খুবে মিল
পাখি খোকার এক আত্মা একটা যেন দিল।
ভাল্লাগেনা
অনেক কিছু ভাল্লাগেনা বাড়ছে যত দিন
এখন আমি হচ্ছি না কি! খুবে বুদ্ধিহীন
এসব কিছু মায়ের কথা, তোমরা কে কি বলো
ভালো ছেলের মতন হতে করব কি কি ফলো?
সকাল সাঁঝে পড়তে বসি, স্কুলেও যাই রোজ
আর করিনা আগের মত শালিক ছানা খোঁজ
আর ছুটি না আগের মত কদম কেয়া বনে-
ভালো হওয়া খুব বাসনা পোষণ করি মনে।
একটুখানি ভুলের তরে মায়ে ভীষণ রাগে
সত্যি বলি আমার কাছে সেটাও বাজে লাগে।
তখন কিছু ভাল্লাগেনা পড়ি না আর বই-
নিজকে নিয়ে ভাবনা শুধু, একলা বসে রই।
ভাবিনা আর আগের মত তাদের কথা আমি
মায়ে বলেন এই সমাজে ভালোটা খুব দামি।
আবার ভাবি কেমন করে কেমনে ভালো রই
খানিক বাদে সকল ভুলে আগের মতো হই।
আগে ছিলাম কেমন আমি জানতে বুঝি চাও
দুচোখ-মুজে ভাবতে থাকো পাবে গেছোর ছাও
এডাল হতে সেডাল করে, লাফিয়ে যেটা চলে
লেজটা বাদে সেটাই আমি গাঁয়ের লোকে বলে।