এমনটা অভিধানে সংযোজন এখন সময়ের দাবি,
আর পুরুষ মানে যে ধ'ক
তা রচিত আজ মুখে মুখে যৌক্তিকতার বিচারে।
মিছেমিছি পুরুষ নামক খোলসে
কাপুরুষ চরিত্রটা ঢেকে রেখে চলার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কেন এ রেষারেষি!
নারীকে যখন মায়ের কাতারে রাখার পরেও
লজ্জা বা সম্মানটুকু বিসর্জিত।
আমরা তখন মেতে উঠি নগ্ন সৎকারে ,
হনন করে নারীর সম্ভ্রম।
পর্দা কিংবা ধর্মীয় অনুশাসন এর অজুহাত
সবার আগে ধ**ণের ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে হয়ে ওঠে বরাবরি উপস্থাপন।
প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ সে তো বহুদূর
আগে তো নিজেকে দাঁড় করাও
বিবেকের আদালতে, আত্ম সম্মান বোধ বিন্দু মাত্র যদি থেকে থাকে।
আগে মানুষ হতে শেখো
নিজেকে উপস্থান করে দেখ
তোমার লুকায়িত লালসার কাছে কি নিরাপদ
অন্যের মা,বোন বা স্ত্রী নামক মেয়ে?
মেয়ে তুমি বরং আত্মহননের পথ বেছে নাও
জিতলে জিততে পারো এই হিংস্র নরপশুদের কোলাহলে থেকে,
তোমার নিরাপদে বেঁচে থাকার আস্থা দিতে পারেনি এ সমাজ
ক্ষমা না করলেও অভিশাপ দিও ধ্বংসের।
নারী, তোমার ভাবতে হয়তো লজ্জা হয়
তোমার গর্ভেই জন্ম নেয় এ সকল বিকৃত মস্তিষ্ক পিপাসু- ধ'ক,
এটাও ভেবেনিও নারী হিসেবে চিরতরে তোমার জন্মই যখন আজন্ম পাপ ।
মোমবাতি প্রজ্বলন করে এসব শত প্রতিবাদ
নিভে যায় আলো ফুরিয়ে যাওয়ার কোলাহলে,
সংবিধান কিংবা আইন তুমি করো লুকোচুরি হয়ে নিরব দর্শক এসব ট্রাজেডির ।
আমরা মানুষ এই পরিচয়টা তোলা থাক অসীমে,
অমানুষের চরিত্র টাই বেশ মানানসই
অন্তত্য পুরো সমাজ টা তো অমানুষে ছেঁয়ে যাবে বিশ্বাসভঙ্গের।
হে সমাজ তোমার বুকে মানুষ জন্মনেয় ঠিকি আমৃত্যু ভরণপোষণে বাঁচিয়েও রেখেছো দিব্যি,
তবে কাঙ্খিত মানুষ করে গড়ে তোলার যোগ্যতা তুমি দিন দিন যাচ্ছো হারিয়ে
জবাব দেবার জন্য তৈরি থেকো, একদিন।
হালিচা:
ছড়া-কবিতা