দুই বান্ধবী বাসে উঠল। তারা মার্কেট থেকে দামপাড়া যাবে। দু’জন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। গিয়ে বসল মহিলা সীটে। তারা কথা শুরু করল, 'এই তোর কাপড়টা সুতির, না? আমার না নীল কালারের কয়েকটা সুতির কাপড় কিনতে হবে।’ ‘হ্যাঁ, চল আগামী সপ্তাহে আমিও শপিং করব। ঐদিন এক সাথে করিস।’ ‘তোর পিংক কালারের কানের দুল দুটো কোথা থেকে কিনলি?' 'ওগুলো আমার বড় ভাই কলকাতার মেলা থেকে কিনে এনেছিল।’ ‘এই আয় একটা সেলফি তুলি। ওমমম.. ওমমম...!' প্রচন্ড গরম! তার উপড় মানুষের গিজগিজ। কোথাও একটু ফাঁকা জায়গা নাই। গাড়িতে মানুষ উঠছে তো উঠছে! এ নিয়ে ড্রাইভারের সাথে যাত্রীদের ঝগড়া লেগে যায়। অন্যদিকে এক যাত্রীর সাথে হেলপারের এক টাকা নিয়ে হাতাহাতি হয়ে যায়। কার যেন পকেট পিকট হয়েছে এই ভীরে। সে কান্না জুড়ে দিল। এদিকে মেয়েগুলো সেলফির একেকটা পোজ দিয়েই যাচ্ছে!
বাস টাইগার পাসে এসে ট্রাফিকে থেমে যায়। গরমে সবাই হাসপাস করছে। মেয়েগুলো মোবাইলের ছবিগুলো দেখছে আর হাসছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশ এসে ড্রাইভার থেকে বিশ টাকা চাঁদা নেয়। মেয়েগুলো ছবি আদান প্রদান করছে। এক বয়স্ক মহিলা এক ছেলেকে শাসাচ্ছে মহিলা সীটে বসার কারণে। ওয়াসায় দু’জনের একজন নামবে। এদিকে হেলপার একজনকে গালাগালি করছে। টাকা না দিয়ে চলে যাওয়াই। মেয়েটি নামতে নামতে বলছে, ' কাল তোর লাল জামাটা পড়ে আসবি আর লাল লিপস্টিকটা আনবি। আমারটা হারায় ফেলছি। এক জায়গায় যাবো!' বলেই মেয়েটি হাঁটতে শুরু করে। গাড়িও চলতে শুরু করে আর এদিকে ঝগড়াও সমানে চলছে। অন্য মেয়েটি ছবিগুলো ফেইসবুকে আপলোডে ব্যস্ত হল।
হামীম রায়হান,
পটিয়া, চট্টগ্রাম