এই যে ধীমান সাহেব? আছেন কেমন? ভালো তো?
কেমন যাচ্ছে দিনকাল?
বড্ড বাতাস লাগাচ্ছেন গতরে
পেট যে আপনার ঝুলে পড়ে
লকডাউনের খপ্পড়ে
তিন বেলা নাকি কবজি ডোবান
মাছ-মাংশের ঝোলে।
বলি বউদি'র খবর সমেত ভালো তো?
আপনার তো ভাই রাজ কপাল।
পেয়েছেন সরকারি গুদাম
মাস গেলে বেতন পাচ্ছেন
যাচ্ছেন আর উঠাচ্ছেন
ঘষে কলমের বল।
তো বলি মহাশয়
পার করছেন কীভাবে এত সময়?
খাটি ঘি এর বায়না হচ্ছে তো?
আলু ভর্তা আর গরম ভাতে
পেটে শুড়শুড়িয়ে পড়ছে তো?
শুনলাম বাজারে নাকি আর যাচ্ছেন না
বাজারই নাকি আপনার বাড়ি গড়গড়িয়ে আসে?
কী এক নাকি যন্ত্র আছে
কুত কুত করে ছোঁয়া দিলে
বিক্রেতারা লোক পাঠায়
আপনার ঘরের দ্বারে।
আর আসবেই তো
হিসেবের খাতা তো একটা আছে।
মাস যাচ্ছে, বেতন পাচ্ছেন
উঠাচ্ছেন আর খরচ করছেন।
তো শুনলাম নাকি ইদানিং অনলাইন খুব গুতাচ্ছেন?
সুশীল বেশে দরবেশ সেজে
একবার সরকার তো পরেরবার জনগণকে
ইচ্ছে মত ধুচ্ছেন।
অলিভ অয়েলের স্টক কি আছে না শেষ?
মাখাতে তো হবে
ইচ্ছে মত ডলতে হবেনা!
নইলে আরাম হবে যে বিষ।
আপনারা তো বাবু মশাই
গরীবের ভালো মন্দতে কী আসে যায়
নিজে বাঁচলেই বেশ।
এতো আরাম! এতো সুখ
আপনি ফোলান বুক।
কথার উপর কথা ছুড়ে
আটকে আছেন জাপটে বসে
মগের মুল্লুকের উল্লুক।
বলি ও মশাই!
পাশের বাড়ির রিক্সাওয়ালার খবর রাখেন কিছু
ঐ পথের ধারের রোগা শিশুর।
খাচ্ছে কি? পাচ্ছে কি?
একটা রুটি আর এক মুঠো ভাত।
খবর রাখেন, কাছে থাকেন
অনুরোধ করি ভাই।
আপনি শালা ইতর বেশি
স্যানিটাইজার মাখাচ্ছেন আর দুই হাত ডলছেন
মাস্কও নাকি আছে?
পিপিই আর কেউবা না পাক
আপনারটা আছে বেশ।
বলি ও দাদা! এইভাবে আর কতদিন!
ছাদের তলায় থেকে আর কত ঘষাঘষি করবেন?
ভাবুন! নিজের সুখ ত্যাগ করুণ
পারলে কিছু করুণ, মানুষ নিয়ে ভাবুন।