হারানো স্মৃতি ।। সাজেদুল করিম সুজন


বিশ্ব যখন বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারে হাতের মুঠোয় তখন কিছু স্মৃতি বেশ উড়ন্ত পাখির মতো।একবারেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কয়েক বছর আগের কথা গুলো মনে হচ্ছে আজ রূপ কথার গল্প। কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে সেই সোনালী দিন গুলো? পৃথিবীটা ঠিক একই আছে কিন্তু মানুষ গুলো কেমন যেন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চলার গতি। মানুষের সাথে মানুষের কমে যাচ্ছে সম্প্রীতি- ভালোবাসা। যেখানে গ্ৰামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছিল নাহাড়ী (গল্প গুজব করত এমন ঘর বিশেষ) সেথায় বসে আনন্দে সময় কাটিয়ে দিতো গ্ৰামের মানুষ। পাশে সাজানো থাকত পানের বাটা। আজ সেগুলো শুধুই স্মৃতি। ঝগড়া ঝাটি কিংবা যে কোন বিবাদ মেটাতে গ্ৰামে শালিস বৈঠকে মিমাংসা হতো। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ছিল। কিন্তু আজ একটুতেই মানুষ কোট-কাচারীর শরনাপন্ন হয়।আর সেখানে দিনের পর দিন বেড়েই চলে উভয়ের দ্বন্দ্ব।

বাঙালি জাতির নাম বললেই মনে হয় আমরা ভাতে মাছে বাঙালি কিন্তু আজ নদী গুলোর হারিয়ে ফেলতেছে নাব্যতা। হারিয়ে যাচ্ছে নানান দেশীয় প্রজাতির মাছ। আগেকার দিনগুলোতে মানুষ নদীতে মাছ ধরে সেই মাছ দিয়ে শান্তি করে দুমুঠো ভাত খেত। মাছ ছিল অনেক সুস্বাদু। মাছ ধরতে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরে আসত না। কিন্তু আজ নদী গুলোতে মাছের বড়ই অভাব।

দিন বদলের ধারাবাহিকতায় আজ বিলুপ্তির পথে গ্ৰাম বাংলার লাঠিখেলা, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কানামাছি, বৌছি, গয়ো, লুকোচুরি, চোর-পুলিশ, বর-কনে, চড়ুইভাতি, মার্বেল, কিতকিত, পত্তে পাতা, পেপছি, ঘাস কিতকিত, ছৈল, তলনা উপর, কলম টোকাটুকি, সহ আরো অনেক খেলা। এখনকার ছেলে মেয়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। প্রযুক্তির বদৌলতে তারা মোবাইলে খেলে লুডু, দাবা, কেরাম, ক্রিকেট, পাবজি আরো কত কি!

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।