গফুর চাচা চায়ের দোকানে এসে নিয়মিতই পত্রিকা পড়েন। পত্রিকা পাঠের পর শুরু হয় তার চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি থেকে শুরু করে আর্ন্তজাতিক বিষয়াদিও উঠে আসে তার এই আলোচনায়। বাদ যায় না করোনা আপডেট থেকে শুরু করে লঞ্জডুবিও। সেদিন দেখলাম চাচা প্রতিদিনের মতই পত্রিকা হাতে নিয়ে আজ না পড়ে দেখতেছেন আর আফসোস করছেন। ‘আহা! কত লোক না জানি মারা গেল। কতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কে জানে! এদেশটার কী হবে! নতুন গাড়ির এই অবস্থা! আরো পুরাতন গাড়ির কি হবে’ চাচার এমন হায়! হায়! বিলাপ শুনে আমি এগিয়ে গেলাম। পত্রিকার খবরটা দেখার সাথে সাথেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল! চাচা, পত্রিকাতো উল্টো ধরেছেন! আর এটাতো কোন এক্সিডেন্টের খবর না। এটা একটা গাড়ির বিজ্ঞাপন! ‘এই যে দেখুন!’ বলে পত্রিকাটি ঠিক করে দিয়ে হেঁটে চলে আসলাম। ওদিকে গফুর চাচার দোকানে পরল হাসির মহাধ্বণি।
১০/০৯/২০১৯