সীমারুপ
গেরুয়া রাস্তায় নিশিহিম তোর
অনাবশ্যক অভিমান।
প্রিয় গাছের কাছে চিঠি লিখে জানানো
মনসমুদ্রে
পালক ভাসছে ,
ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে হৃৎপিণ্ডের ওঠাপড়া ।
সংগুপ্ত চরাচরে তোর জন্য
বিনয় মজুমদার কবিতা লিখছেন -
সাদামাটা অনাড়ম্বর।
সেখানে ছন্দের সীমারুপ
নিয়ন্ত্রণে অলীক।
ধ্বনির সৌন্দর্য তোর চুপ।
মিলনপ্রত্যাশী
সন্ধ্যা নেমে আসছে।সন্ধ্যা নামার মধ্যে চিত্রকল্পিত পাণিগ্রহণ আছে আমার সঙ্গে বেকুফির ।তোমাদের গ্রহণে আমি সত্যি সত্যি নির্বিকার হতে পারতাম। প্রণতির যেহেতু মর্মস্পর্শী আন্তরিকতা সংলগ্ন-বৃষ্টিপাতের অজুহাতে ভাসিয়ে দিতে পারতাম যা কিছু স্রোতের ভুলচুক ।মিলছে না ।মন অঙ্কের ফরমান জারি করেছে গানের ভাষায়।
সমুদ্র বহুদূরবর্তী প্রাণীদের নবীন বসতি। একটা ধ্বংসবিধ্বস্ত জনপদ যাযাবরে অভ্যস্ত। অকুল পাথার মনোগামী-চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে লোভী বাতায়নের জলছাপ। নিশ্চয়তা চাই সবাই। নবীন বসতি বিপর্যয়ে অনটনে শরীরসংলগ্ন প্রহরী ;পার্বত্য জলজ প্রাণ উন্মুখ মিলনপ্রত্যাশী।
- তোমাদের গ্রহণে আমি সত্যি সত্যি নির্বিকার হতে পারতাম।
কাগজের বেসাতি
কাগজের বেসাতি প্রিয় সন্নিধান
বাজুবন্ধের নৈবেদ্য ,
যতই না তোকে গ্রহণ করি
নোনা জলে ভাসে
অকূল স্নায়ুর কৈবল্য।
সহজ চোখে বর্ষার মেঘ
অটুট জল্পনায় সহমরণের ঘুম।
বাতিস্তম্ভে প্রহরীর নিরাপত্তা ।
হীন কাগজের বেসাতি প্রিয় সন্নিধান
যতই না তোকে গ্রহণ করি
নোনা জলে ভাসে
অকূল স্নায়ুর কৈবল্য।
সূচিতে ফিরতে ক্লিক করুন
আপনার লেখা ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনী, উপন্যাস, সাহিত্যিকের জীবনী, সাক্ষাৎকার, সাহিত্যের খবর বর্ণপ্রপাতে প্রকাশ করতে চাইলে ইমেইল করুন bornopropat@gmail.com