আক্রান্ত নীলাচলে শীর্ণ শব্দাবলী
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে শ্রাবণের দূরন্ত প্লাবন
বর্ষার ঝরো ঝরো প্রচণ্ড বৃষ্টির জলে
ভেজেনা বাতাসের মর্মহীন শরীর;
ভেজেনা লক্ষ কোটি শব্দের অসংবৃত পেশী
বাহুতে রক্তাক্ত অগণন হাতুড়ী শাবল আর
তীক্ষ্ণ বল্লমের ইরানী ধারের ফলা,
লক্ষ লক্ষ পাখিদের চঞ্চুতে বয়ে আনা
অঙ্গিকারের উদ্ধত কামান
গোলার মুহূর্মুহ বর্ষনে অতিষ্ঠ আক্রমনকারী।
পাখি আর শব্দের অবিশ্রান্ত আঘাতে আঘাতে
ভেঙ্গে যায় আক্রমনকারীর দুর্ভেদ্য ব্যুহের প্রাচীর;
দূর নীলিমার আরও দূর থেকে শ্রবনকে বিদ্ধ করে
উন্মত্ত শব্দের প্রলয়-সঙ্গীত-
বাঁচিয়ে রাখতে হবে এই নীলাচলকে;
প্রকৃতি-জন্মিত স্বর্গের এই লীলাভূমিকে
আমাদের অতীত পিতৃপুরুষ আর
আমাদের সন্তানদের এই ভবিষ্যত বসতিকে।
চতুর্মুখে চারদিক থেকে শ্রুত হয়
চিরচির করে মৃত্তিকা চিরে দেয়া লাঙ্গলের চিকচিকে ফালে-
কিসের আওয়াজ??
প্রলাপের বিলাপ নয়, নয় অক্ষিপটে করুণার জলের প্রপাত
নয় বীর্যহীন কোনো অক্ষম ষাঢ়ের তোলপাড় হা-হাকার
নয় কোনো ঋতুবতী নারীর অসহায় অশোভন চিৎকার।
এ তো তীব্র আগুনে প্রবহমান কামারের হাপড়ের নিঃশ্বাস
অয়নাংশিক নক্ষত্রের বিপুল অগ্নি-পরিধি;
কেউ কি পরবে রোধ করতে সে
নাক্ষত্রিক আগুন-শিখার অনন্ত আস্ফালন??
পারবে না, কেউই পারবে না।
নিস্তব্ধ হয়ে যাবে আক্রমনকারীর অশ্বখুরের ধ্বনি।
অপরিমিত বর্ষার জল আর শ্রাবণের প্লাবনও
পারবে না সে শিখার উত্তাপকে কেড়ে নিতে।
রক্ষা পাবে আমাদের মহান নীলাচল-
আমাদের সন্তনদের পূণ্য বসতি।
সূচিতে ফিরতে ক্লিক করুন
আপনার লেখা ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনী, উপন্যাস, সাহিত্যিকের জীবনী, সাক্ষাৎকার, সাহিত্যের খবর বর্ণপ্রপাতে প্রকাশ করতে চাইলে ইমেইল করুন bornopropat@gmail.com