তুমি কি ট্রাম দেখোনি? না চিন্তামগ্ন হয়ে পথ চলছিলে?
তুমি তো রূপসী বাংলার কবি,
তুমি আঁকো বনলতা সেন।
তুমি দাও আনন্দ ,
তাই জীবনানন্দ!
গ্রামের রূপ ছেড়ে শহরে ,
কেনো এসেছিলে?
বিষাক্ত বায়ূ এখানে, যত্রতত্র
জীবানু!
কলুষিত জীবনের দৈন্যদশা
ঢাকতে সর্বত্র আবরন।
তুমি ভুলপথে চলে এসেছিলে।
হয় ট্রাম তোমায় চেনে না-
নাহয় তুমি ট্রাম চেনোনা?
বনলতা চেয়ে আছে,
তোমার আসার অপেক্ষায়,
রূপসী বাংলা ভুলবেনা ,
বাইশে অক্টোবর!
উনিশশো চুয়ান্ন তো বেশী-
দূর নয়! একটু বিরতি নিলেই পারতে?
কোনো গাছতলায়, কংক্রিট বাঁধানো বেদীতে।
সেখানে লিখতে " লেখা পড়া করে যে ,
গাড়ীচাপা পড়ে সে"
বা রূপসী বাংলার ট্রামের কথা।
তুমি ছুটছো বাঁচার তাগিদে,
পেছনে ষাঁড়ের মতো ট্রামের তাড়া!
সিং দিয়ে উস্কে গুতো মেরে
চলে গেলো।পড়ে রইলো ভাঙাচোরা কবিতা!
যার হৃদয় স্বপ্নমিশ্রিত আলোমাখা!
তুমি এসো ফিরে আর একটি বার!
বনলতা জানেনা তোমার মৃত্যু,
ঘোরে পথেপথে এই বাংলায়,
এ দ্বার সে দ্বার!
সন্ধানী নয়ন চকিতে চমকিতে,
গর্জায়- বাতাসভরা শুন্যতায়।
কে যেনো বলে নাই নাই নাই--
তুমি আছো,মরতে পারোনা ,
বাঙালীর মননে তুমি দীপ্ত চেতনায়!
তোমারে করি নমস্কার।
শঙ্খচিলের ডানা মেলে বাংলায় এসো বারবার।
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ।