বিতি যাওয়া দিনের কথা। তখন, নয়া কারেন্ট আসিচে উলিপুর উপজেলাত। সারি সারি কারেন্টের খুটি, নম্বা নম্বা তার। খুটিলা আছিল নোহার এঙ্গেল দিয়া বানা। মোবাইল টাওয়ারের নাকান খানেকটা। সেই সমায় ইস্ক্রিমের আবাদ। মিনাবাজারের দোলাত হাল আর কাদো। জোবের আর ছোলে, বাপ-বেটা। রোয়া গাড়া কাম করে দুনোঝনে। দুপরা সগায় খাবার দম নিছিলো। ভাত খাবার বসিছে কারেন্টের খুটির নিচত। খাওয়া শেষে জোবের মুখ মুছে আর কয়; হ্যারে বাবা ছোলে, কারেন্ট কেমন? খুটিত চড়ি তারখ্যান বোলে দেখিন না ক্যানে!
এই কথা শুনিয়া ছোলে কয়; তোমার ড্যাও ভাসছে তা- নিজে চড়ি দেখো!
জোবের বিগড়ি উঠিল। কয় কিরে! আইজ কারেন্টের বুঝ করিম। কামলারা সগায় জোবেরক কইল, খুটিত উঠিস না। কায়ো কয়- কারেন্ট গরম, কায়ো কয়- ঝমঝমায়, কায়ো কয়- ছেঙছেঙা ঠান্ডা। দুই একঝন কইল, তুই কি পাগলা হলু বাহে?
কিন্তুক কায় শোনে কার কথা। অয় সাঠাম উঠি পড়িল খুটিত। নিচত থাকি সগায় হা মেলি উয়ার ভিতি চায়া আছে। জোবের যেইনা কারেন্টের তারত বোলাইছে; অমনি ওঅঅ... কয়া এই এঙ্গেল থাকি ঐ এঙ্গেল ছিটকি যায়া থপাস করি কাদো ভূইয়োত মুখপাকে পড়িল। ঠসকা নাগি যখন ফকাস ফকাস করি নিকাশ নেয় তখন কাদো-জল মুখোত ঢোকে। ছাড়লে বেড়ায়। একজন ভয়ভয় করি বিচোন উবা বাউঙ্কা দিয়া মাথাটা চাড়ে ধরিল। যাতে মুখত কাদো না সোন্দায়। নগুল গুলা পোড়া গেইছে। পিঠির চামড়া আউলী গেইছে।
চিকিৎসা করি তিন মাস পরে জোবের সুস্থ হইছে কিন্তুক অভিজ্ঞতা আর শইল্লের দাগ যায় নাই। ওটেকার মানষে এই ঘটনা শুনি, মাথা নাড়ে আর কয় “ইয়াকে কয় কারেন্ট”!