রাতের আধারের রেশ কাটেনি তখনও
মুঠোফোন হাতে বেড়িয়ে পরেছি,
ভোরবেলার বিশুদ্ধ বাতাস আর নির্মল প্রকৃতির অবগাহনে নিজেকে সিক্ত করব বলে।
খালি পায়ে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা জমা
ভেজা সবুজ ঘাসের ডগা মারিয়ে
এত প্রশান্তি কেন পাই কে জানে?
মাথা উঁচিয়ে দাড়িয়ে আছে পাতাশূন্য শিমুলগাছ
সেথায়,
নানান রঙের পাখিদের কিচিরমিচির কলতান,
মুক্ত বাতাস, স্নিগ্ধ প্রকৃতি -জুড়িয়ে দেয় প্রাণ।
বিলের জল একেবারে তলানিতে
সাদা সাদা বক গুলো কী সুন্দর একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আর লম্বা ঠোঁট দিয়ে
বোধহয় পুটিমাছ আহার করছে।
হঠাৎ মনে হয়, অনেকক্ষণ তো হল। এখনো সূয্যি মামার দেখা হল নাতো?
একটু সজাগ হতেই, মেঘলা আকাশ!
অথচ, সূর্যদয়ের দৃশ্য ধারণ করব বলে সেই থেকে অপেক্ষমাণ।
কি আর করার?
ওই যে, বরাবরই আমার প্রতিকূলতায় প্রকৃতির অবস্থান।
১০ই মার্চ ২০২১
চাঁন্দামারী, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম