এক জৈষ্ঠ্যের সকালে তুমি হবে
কামিনী ফুলের ঘ্রাণ।
কিংবা ব্রহ্মলতায় থোকা থোকা গাঢ় গোলাপি ফুল।
ব্যালকনির আয়রন বেষ্টনীতে জড়িয়ে থাকা জুঁইয়ে আকাশ থেকে খসে পড়া নক্ষত্রের মতো আমি অন্তলীন হয়ে থাকবো।
তারপর, কোনো দেউরি ফুলদানিতে দুজন মুখোমুখি হবো।
কুলদেবতার মন্দিরে শোভা পাবো ।
কেমন লাগবে তোমার বলোতো?
পূজারী যখন অর্ঘ্য দিবে,
প্রেম ভক্তি ভরে,
চন্দনের লেপন পড়বে তখন
দুজনেরই গায়ে।
অবশেষে ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে ভেসে
হারিয়ে যাবো দুজনেই
বিস্মৃতির সপ্ততলে।
পর জন্মের প্রতীক্ষায় থাকবো
এবার হয়তো কোনো অরণ্যের বিহগ হয়ে
নয়তো অনন্ত আকাশে
অসীম সপ্তলোকের তারা হয়ে
মৃদু আলোক বিচ্ছুরণে
ভিজিয়ে দিবো নদে বিলীন,চাচলা, কাঁচি কাটার পাথার।