সাগরের মতো বিস্তৃত জ্ঞান অর্জন করে কি লাভ সেই জ্ঞান যদি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ না হয়। জনার্দন স্যারের কথায় চুপসে যায় এশা মণি। স্যার আবার বলতে থাকে তোমরা ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও, বড় কিছু হও সবার আগে মানুষ হও। কারাতে শিখছো তাই না, সারাবিশ্বে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে প্রশাসন লকডাউন দিয়েছে। আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি , মীর ইসমাইলে পড়েছি, গাছ তলায় বসে কথা বলছি। যারা উঁচুতলায় থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে তাদের সচেতনতা কতটুকু। তুমি এশা পড়াশোনা করে শিক্ষিত হবে। তোমাকে সুরক্ষার কথা তোমাকেই স্মরণ করিয়ে দিতে যদি পুলিশের প্রয়োজন হয়। কতোদিন থেকে করোনা ভাইরাস, তবুও অনেককেই মাস্ক পড়াতে পারেন নি প্রসাশন, সম্মুখে মাস্ক পড়ে আড়ালে খুলে আবার ঘুরে বেড়ায়। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে লকডাউন উপেক্ষা করে। পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে দেখো এশা । আজ তুমি বাইরে ঘোরাঘুরি করে কারাতে শিখতে যাচ্ছো, মানছি কারাতে বা ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর সেটা এমন তো নয় যারা ব্যায়াম করবে তারা আক্রান্ত হবে না,যারা খেলাধুলা করবে তারা আক্রান্ত হবে না। সবাইতো আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন। তোমার মাধ্যমে তোমার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলো ভেবে দেখো তো কতটুকু খারাপ লাগবে।
সাগর কিনারে বিস্তীর্ণ জলরাশি থাকলেও তৃষ্ণা মেটে না। যে শিক্ষা সচেতনতা বোধ জাগ্রত করে সেই জায়গাটুকুতে এতো অসচেতন হও। সাগরের লবণাক্ত পানি কেউ পান করলেও তৃষ্ণা মেটাতে পারবে না অথচ সাগর নদ-নদী জলে পরিপূর্ণ । নদীর জলেই তৃষ্ণা মেটে। তেমনি প্রচুর শিক্ষা থাকার ফলে যদি ব্যক্তির অসচেতনতা শিক্ষাকে কাজে লাগাতে না পারে নিয়ম কানুন মেনে চলতে না পারে । আমি সেই শিক্ষাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি। তোমার বাড়িতে একজন ডাক্তার তোমার বড় আপা। আমি চাই তুমিও বড় মাপের মানুষ হও। তোমার আপুর মতো সচেতন নাগরিক হও, যুক্তিবাদী হও। কারাতে শিক্ষতে সময় পাবে । লকডাউনেই শিক্ষতে হবে এমনটা নয়। আমরা এখন জীবন মরণের লড়াই করছি । এশার মাথা ঝিমঝিম করে প্রকান্ড আম গাছটার মতো শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনতে থাকে। স্যার যা বললো সত্যিই তো, শুধু একটা প্রশ্ন মনে মনে জাগে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে আমরা রক্ষা পাবো তো? কবে খুলবে আমাদের স্কুল?
রচনা তাং:১৯/০৭/২১