উষ্ণ বিকেল
বৃষ্টির তাপোষ্ণ বিকেল
অথইজলে ডুবেও
—হেসে ওঠে রাজহংসী নদী
হাঁসগুলো সবুজ পাহাড় দ্যাখে
সাঁতার কাটে
আর
মোচড়ানো গলার বাহার
—দেখায় নিরবধি।
প্রিয় বিহঙ্গ
উড়ে বেড়াও
এক জোড়া অশ্রুডানায়
মুক্ত বিহঙ্গের মতন
বিমর্ষ আক্ষেপ নিয়ে বাঁচে
নাভিমূলের তিলক যেন
একখণ্ড কালোপাথর সযতন
মেঘে ঢাকা- পাহাড় দ্যাখো
আকাশ ভেঙে ঝরছে
বৃষ্টির জল অবিরত যাতনার মতন।
কাগুজে নৌকা
বৃষ্টিহীন পূর্ণিমা রাতে
জোনাকিরা দলবেঁধে আসে
আর উড়ে উড়ে মাতে
অপেক্ষার কানামাছি খেলায়
আর; আমার স্বর্গীয়প্রেম বাঁচে
নিসর্গের দেশের নীলাদ্রি লেকে
ভাসমান কাগুজে নৌকায়।
নির্জন সন্ধ্যা
সন্ধ্যার নির্জন আকাশে
—একাকী আবেগী সুর
কচুপাতা বেয়ে ঝরে
—বৃষ্টির প্রণয়ী জল বিধুর
চোখ ভাঙে জানালার কপাটে
ভেজা বাতাসে ঘ্রাণ ভাসে
অন্তরঙ্গ অনুরণনের
—যেন স্মৃতির কর্পূর।
স্বপ্নেরা মুচকি হাসে
কবিতায় আমি
তোমাকে আঁকছি
আমার আকাঁ সমস্ত স্বপ্ন
প্রজাপতির ডানায় চড়ে
—উড়ে যায় চাঁদ বাগানে
অতঃপর; স্বপ্নেরা মুচকি হাসে
স্বপ্নের মতোই ছবি আঁকে আনমনে।
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী। একজন কবি, লেখক-গবেষক ও গণমাধ্যম কর্মী এবং শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লামাসানিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া এমএ, এলএলবি।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: মুক্তি কোন পথে, একাত্তরের যুদ্ধবীর, প্রেরণার বাতিঘর (আবদুল মজিদ মাস্টার স্মারকগ্রন্থ), মুক্তিযুদ্ধে জননেতা আবদুল হক, ১৯৭১: যুদ্ধজয়ীদের কথা, কুড়ানো সুখ (কবিতাগ্রন্থ), স্বপ্ন শতদল (কবির সম্পাদিত যৌথকাব্য গ্রন্থ) ইত্যাদি।