গোলক ধাঁধা ।। মুহাম্মদ রাইস উদ্দিন

 

গোলকধাঁধা দেখছি চোখে 
কাটছে সময় ধাঁধায় 
একই ঘাটে খাচ্ছে যে জল
সিংহ ঘোড়া গাধায়।
কাকে আমি বলবো যে চোর
সবার মাথায় বোঝা 
তন্দ্রা চোখে কাটছেনা ঘোর
দেখছি না পথ সোজা।
উদ্ধারিতে এসে সবাই
ডুবায় হাঁটু জলে
নিজের ঝুলি করে বোঝাই
ছলে কুট কৌশলে।
মুখোশধারী মোড়লেরা
করছে আনাগোনা 
কলিজা আর হৃদপিণ্ড চায়
খাবে করে ভুনা।
আমি তো ভাই শ্রমজীবী 
দিন মজুরি খেটে
কোন রকম আছি বেঁচে 
পাথর চেপে পেটে।
দেশকে ভালোবাসি সদা
আমরা মানুষ খাঁটি 
গদি ধারি যাঁরাই আসে
শেষ করে সব চাটি।




মুহাম্মাদ রাইস উদ্দিন ১৯৬৮ সালে পহেলা জানুয়ারী মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিংগাইর উপজেলা চান্দহর ইউনিয়নে সিরাজপুর গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজি মুহাম্মদ নিয়াত আলী মাতা রানু বেগম।
কবি তার নিজ গ্রাম সিরাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেনী এবং পাশবর্তী উপজেলা কেরানীগঞ্জের কাতিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় হইতে ১৯৮৭ সালে এস এস সি পরিক্ষা দেন।
গল্প  কবিতা ছড়া গান ও নাটক লিখালিখির শখ  ছোট থেকেই। পত্রপত্রিকায় কিছু লিখা ছাপা হলেও একক ভাবে কোন বই সংকললিত হয়নি। কথাকলি নামে একটি যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৩সালে।  লেখক ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত  চাকুরির সুবাদে সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে হেরার আলো শিল্পী গোষ্ঠী কাফেলা ও প্রতীতি সাহিত্য সংস্কৃতি গোষ্ঠির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 
বর্তমান সময়ে তিনি বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।