( ঘন শ্রাবণ-মেঘের মতো রসের ভারে নম্র নত...
গীতবিতান// পূজা//৫০৪)
জীবনটাকে এত অপরিচ্ছন্ন করে রেখেছো কেন ?
এই যে মাঠের প্রান্তে , মেঘ-থরথর আকাশভরা গোধূলি-বিষণ্ণতা নামছে , এই যে ভিজে চুপচুপ
ঢোল-কলমিলতায় দিনশেষের মগ্ন ফড়িং, জীবনের কাছে , মহাপৃথিবীর জীবনানন্দের কাছে রঙ তুলি চেয়ে নিচ্ছে ; সে আসলে তোমার ব্যস্ত দুচোখের পাতায় লালনের নম্র দৃষ্টিপাত বুলিয়ে দিতে এসেছে ।
ওকে , আর দিনান্তের শেষ , একেবারে শেষ আলোটুকু কবিতায় যদি এঁকে দিতে , যদি দুঃখী দোতারা হয়ে গেয়ে উঠতে -- ও জীবন ছাড়িয়া না যাও মোরে...
যখন সারাদিন বৃষ্টি বৃষ্টি থেকে, সান্ধ্য তানপুরা হাতে রবি-সঙ্গীতে চির অমলিন সুবিনয় রায় যেন গেয়ে যান--
গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে , আর কোলাহল নাই...
কবি, কখনও স্তব্ধতার গভীরতম শিকড়ে নেমে, শুনেছো এ গান ?
যদি মাটির ভিজে অন্তর থেকে,পৃথিবীর সঞ্চিত জলরেখা ধানের শৈশব হয়ে ডেকে যায় অমল,সুধাকে ...
সে ডাক শোনার মতো অপেক্ষা তোমার আছে , কবি ?
নিজস্ব নির্জনতা ? আছে ?
আরণ্যক বসু
২৩ শে জুলাই , ২০২১
শ্রাবণ , ১৪২৮
@ আরণ্যক বসু