মুখোশ এবং অ-মানুষ || সাইফ উল্লাহ


দ্বৈপায়নবৃত্তি পোষক কল্পনায়
গড়েছ ঘরকন্না।
নীলিমার চাদরজড়ানো অন্ধকার;
সন্ধ্যা হতে রাত অব্ধি বিজলী-বাতির ভীড়ে
নিঃসাড় দেহ,
বিরাজ করছে অপরূপা তটিনীর কেন্দ্রস্থলে।

মেদিনী হতে বহু ব্যবধানে সৃষ্ট আলোকপাত,
পৃথিবীতে এসেছে।
কখনো ডুবুরি হয়ে,
তুলেছে বসুমতির হৃদয়ে জমে থাকা হিংসাপূর্ণ ঘড়া।
কখনো তেজি অশ্বের পিঠে চেপে
ঝাঁজালো অন্ধকার ছুটতে ছুটতে কাঁদিয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে।

বর্ষণসিক্ত দিবার সমাপ্তির প্রহর,
গাছের মগডালে বসে
কাব্যপাঠ করছে শ্যামা।
সিন্ধুর পাড়ে জমা হওয়া বালুকণায়
বসতভিটা করেছে শম্বুক।
তার চোখ বেয়ে রক্ত ঝরে পড়ে,
স্রষ্টার কাছে নালিশ তার;
তার ঘর ভেঙে দিয়েছে মানুষ।

সীমান্তবর্তী খড়ের মাথায় ঘাসফড়িঙ,
সবুজাভ দেহ ক্ষণে ক্ষণে নক্ষত্রের মত জ্বলে উঠে।
মানুষের প্রতিকৃতি দেখে বন্দোবস্ত করে পালানোর।
জীবনের শঙ্কায় সে ও চলে যায় প্রকৃতির মহিমা ছেড়ে।

মুখোশের আড়ালে ঢেকেছি এবার মনুষ্যত্ব,
পশুপাখিরা আমায় ভয় পায় না।
কাছে ঘেঁষে বসে,
তাদের সংগীত, সুর মুগ্ধতায় চেয়ে থাকে আমার পানে।
এ তো মানুষ নয়, আমাদের বন্ধু।
বনের গাছপালা স্রষ্টার কাছে মিনতি করে।
মনুষ্য হতে আড়ালে এসে ভাবতে পারিনা আমি অ-মানুষ।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।