মৃণালিনী ঘোষ, ঠিক না!
৩০ বছর পেরোনো এ দু'চোখের দৃষ্টিপাতে
তোমায় চিনতে খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না আজও।
সাইরেন বাজিয়ে ছুটে চলা ট্রেনের ধার ঘেঁষে আচমকা তোমায় আবিষ্কার,
যেন রোজই দেখা হয় আমাদের হাত ছুঁয়ে হেটে যাওয়া হয় বহুদূর।
এখনো দেখি কপাল ঘেঁষে ক'টা চুলের উন্মুক্ত ছড়াছড়ি বিদ্যমান,
যেন এখনি বয়ে আসা দক্ষিণা মৃদু বাতাসে তা আলতো করে সন্ধি ঘটিয়ে উড়ে উঠবে আবার।
নাক ফুল টাও বোধ হয় আগের টাই বর্তমান,
নিখাঁদ স্বর্নের তৈরি বলেই বোধহয় চাকচিক্য করছে এখনো।
চশমার ফ্রেম টিও দেখি বদলায়নি আজও,
উপহারের এ চশমা দামি ব্রান্ডের ছিলো বলেই আজ অব্দি বর্তমান করে রেখোছো নাকি নেহাৎই স্মৃতি কাতরতা সরুপ!
শাড়িতে তোমায় সেই আগের মতোই লাগছে,
এখনো পায়ের নিচে শাড়ির ভাজ টা ঠিক করে পড়তে শিখোনি।
প্রেমিকার থেকে যাওয়ার শপথ শ্মশানে পুড়িয়ে তুমি আজ অধিকারের বাহিরে,
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারা যায় যাকে সে আজ আমার জন্য নিষিদ্ধ!
ভাবতে পারো,
বছর আট কিভাবে কেটে গেলো?
আমি না এখনো বদলে যেতে পারিনি,
মানিয়ে নিতে পারিনি বলেই আমার দখলে কোন নতুন মানুষ ঘেঁষতে পারেনি।
সব কিছুতেই তুমি দেখছি আগের মতোই আছো।
তাহলে কি এমন বদলেছে বলতে পারো?
অপরিমাপ যোগ্য এই দৈর্ঘ্য বিহীন মনে শুন্যতা জমেছে ভীষণ,
এই শুন্যতা তো হওয়ার কথা ছিলো না।
কথা ছিলোনা দূরুত্ব বাড়ার ক্ষেত্রে দু'জনের এমন প্রতিযোগিতার নেশা জুড়ে বসবে!
জানি উত্তর নেই !
না বদলানো সব কিছুর মাঝে
শুধু বদলে গেছে খানিকটা প্রতিকূল সময়,
সময়ের স্বতন্ত্র পৈশাচিক ধারায়।
বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে জুটেছে তোমার উন্মুক্ত সিঁথিতে আজ গাঢ় লাল সিঁদুর।
উপসংহার টা যদি এতো নিষ্ঠুরই হয়
তবে সূচনা টা কেন এতো সুন্দর ছিলো!
বলতে পারো?