প্রতিশোধ
উজানে ভেসে যেতে যেতে যেতে
স্বপ্নিল আবেশে আবেগে ভাঙন-রেখা
মুকুরে ধরা পড়ে অচিরাৎ।
এমন ভাঙাভাঙির খেলা মনের অতলতলে
কতকাল ঘটমান উদ্দাম উচ্ছ্বাস আচরণে,
নুয়ে পড়ে প্রাণ, নেভে সব আলো,
জীবনে যেন হলাম আংশিক কুপোকাত।
এ হেন সংকটে যথাযথ নিই কুড়িয়ে
বাঁচার একান্ত রসদ,
স্বপ্নেরা আবার উড্ডীন আমার আসমানে
স্থির প্রত্যয়ে জেনেছি প্রকৃতির চরম প্রতিশোধ।
আরো আরো সাবধানী চতুরালি মনন
পদক্ষেপের হিসেব রাখে ঠিকঠাক্,
পিচ্ছিল পথে তবু তবুও হড়কে যায় প্রাণ
প্রচ্ছন্ন রেখেছে তীব্র গরল সামনের বাঁক।
জল নিয়ে
দোটানার ভেতর অগোছাল বন্য টানাটানিতে
দুঃখগুলো সব জমে বরফ।
একটু তাপ-উত্তাপের আশায় আছি বসে,
গলবে, ঠিক গলবে, গলতে গলতে
তারপর মুঠি ভর্তি শুধু জল, জল নিয়ে
ধুয়ে যাবে ফেলা আবিল আসন।
কি যে হঠাৎ ঘুরপাক খেয়ে গেল নেবে
স্পাইনাল কর্ড বেয়ে!
ধমকে উঠল আত্মা, এই সুবর্ণ সুযোগ
পায়ে পায়ে ঠেলে দিতে করছে বারণ।
দোমনার ভেতর এমনতর এক উত্তরণে
প্রান্ত থেকে প্রান্তরে প্রান্তরে
ছড়িয়ে যায় চেতনার গোপন তন্তুগুলো,
বেঁচে ওঠর সহজতম চওড়া উদ্যানে
বেঁধেছি পিঠে কুলো,
যেতেই হবে এখন, যেতে হবেই
শুকনো পাতাগুলো দৃঢ়তায় মাড়িয়ে।
এমন সংলাপ, এমন সংকল্প
কন্দরে অন্দরে তোলে দারুণ হিল্লোল,
আবার আবার আবার এমত স্রোতধারায়
কুলকুল কুলকুল বয়ে যায় শুধু জল আর জল।
দুঃখী
দুঃখের বাকসো-প্যাঁটরা নিয়ে
অহর্নিশ চলা মাঠে-ঘাটে
দুখের কোনো নেই হিসাবপত্র
জীবনের এই হিসাবখাতে।
দৈনন্দিন মুখ বুঁজে সহ্যটা
পাঠশালাতে পড়ার মতন
যেদিকে তাকাই এই ভীড়েতে
মস্ত বড়ই আঁটন-বাঁধন।
সব কিছুকেই তুচ্ছ জ্ঞানে
এড়ানোটা নয়কো সহজ
কেঁদেকেটেই কালক্ষেপণ
দুঃখময় শুধুই মগজ।
দুখীর সাথে ভাব জমিয়ে
আচমকাই সুখের হাসি
বেঁচে থাকার পাসওয়ার্ডে
সুখটাই যেন অনাবাসী।
কবিতা তিনটি ভালো লেগেছে ।
ReplyDelete