চন্দ্রা –মনি গল্পটি একাট ঐতিহাসিক পটভূমির উপর লেখা উপন্যাস। এক ভাগ্যহৃত নারী ও তার সন্তানদের জীবন সংগ্রামের নিষ্ঠুর ঘটনা প্রবাহ নিয়ে রচিত।
লেখক তৎকালিন দুর্বল সমাজ ব্যবস্থা, বৃটিশ শাসন, কুসংস্কার, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, নারীর প্রতি সামাজিক বৈষম্য , অনাচার ইত্যাদি তুলে ধরেছেন।
অন্ধ মোল্লাদের প্রতি সমাজের মানুষের অগাধ ভক্তি এবং নিরক্ষরতা গল্পের ঐতিহাসিক সন্ধি বহন করে ।যেহেতু লেখক ঐতিহাসিক লেখা হিসেবে উপস্থাপন করেছে সে হিসেবে স্থানগত অজানা পাঠকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম । তারপরও ইমাম সাহেবের ছেলে উমরের এই ধরনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা পাঠককে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।
জোসনার প্রেম, বিয়ে, তার বাবার নদীতে নিখোঁজ অনেক বছর পর গুপ্তচরদের অপ্রয়োজনে ফিরে আসা, চন্দ্রার পতিতার পর্যায়ে চরিত্র রুপায়ন পাঠককে বাস্তবতার দিকে সন্দেহপ্রবন করে তোলে ।
সব মিলে চন্দ্রা-মনি চমৎকার একটি গল্প যা পাঠকের তৃপ্তি করার ক্ষমতা রাখে।