মহাজাগতিক ঋষি ও ষড়ভুজ ঈশ্বরের শারীরিক গন্ধ
শবাসনে
বসে থাকা সব জ্যামিতিক অক্ষরের ঋষিরা মহাজাগতিক শরীর নিয়ে অনন্ত ব্রহ্ম
খন্ডে আগুনের স্থাপত্য গড়ে দিচ্ছেন বিলাবল , মোক্ষ ও সনাতন স্তোত্র চিহ্ন
দিয়ে
মৃতভোজী অক্ষর তন্ত্রের মধুমঙ্গল সন্ন্যাসিনীরা গোকুল জনপদের
দিকে চলে যাচ্ছে ভগবানের পঞ্চম তন্ত্রের হৃদয় খণ্ডকগুলোকে অসীম
দ্রাব্যতায় নিমজ্জন করবে বলে , আমার জিভের একটি ৩৯ ডিগ্রি পাখি স্নান করছি
ভৈরবী শরীর নিয়ে
শাঁখ বাজলেই পৃথিবী কখনো কখনো ষড়ভুজ ঈশ্বর হয়ে ওঠেন
অক্ষিকোটরের ভেতর শুধু অনন্ত সম্পর্কের শারীরিক গন্ধ লেগে থাকে ,
প্রাণায়ামে বসে থাকি আদিম কুশধ্বজের তৃতীয় পূর্বপুরুষ হয়ে
গলার
ভেতর থেকে যে স্বরতন্ত্রের অক্ষর রন্ধ্রগুলো বেরিয়ে আসে তারা সকলেই
হরিণের মতো জিভের স্বাদকোরক নিয়ে দৌড়াচ্ছে , আমার কন্ঠ থেকে প্রতিটি
শব্দের এক একটা সুগন্ধ তরুক্ষীর জড়িয়ে ধরছে আমার জন্ম নেই বলে ,
প্রতিটি
জন্মের পর মৃত্যুর অসংখ্য সাংখ্যমান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ল্যাকেসিস
কারাগারের কোন অন্তিম প্রহরী , সারা গায়ে সমিধ রক্তকোষের মতো স্ফোটক ,
আমার সব তক্ষক অন্তর্বাহিনী নদী গুলো শরীরের অসংখ্য লোমকূপে গেঁথে আছে
মহাজনপদ বিষয়ক কাশ্যপ ভূমি হয়ে ,
আমি অযৌন অক্ষর গুলো লিখে
যাচ্ছি স্নায়বিক অঘোর মন্ডলের ভেতর কেউ রক্তের দলার ভেতরে একটা ক্রোমোজোম
অসুখ রোপন করে দিচ্ছে লাল পেন্সিল কম্পাস দিয়ে
তৃতীয় উপপাদ্য ও অযৌন মুদ্রারাক্ষসের ঋতু দাগ
উপপাদ্যের
সব নারীরা অ্যালকোহলিক দ্রাব্যতার অসুখে ভুগতে থাকে বলে হিমোফিলিক
অন্ধকারের কাছে এক একটা অশ্বারোহী নিপুন স্নানাগারে নেমে গেল
প্রতিটি
রাতে নিজের কণ্ঠস্বরের ভেতর অসংখ্য নীল লোহিত সাপেরা মধ্যমার মতো
জ্যামিতিক ঋতুপাতের দাগ রেখে যায় , চেরা চেরা বৈষ্ণবী সাপেদের মুখে লেগে
থাকা স্থাপত্য বাঁশি বেজে ওঠে মধ্যম প্রহরে ,
শ্বেতাঙ্গ নারীরা আজও কোন পান্থপাদপ চারাগাছ লাগিয়ে যায় নিউক্লিয় আকাশের দিকে মুখ করে
আমাদের সব অঘোরতন্ত্র নেমে আসে বায়বীয় যতি চিহ্নের মতো গোলার্ধহীন নাবিক পুরুষদের অবতল নৌকার কাছে উদ্ভ্রান্ত পদ্মাসনে বসে থাকলেই
শাম্ব
আসলে কেউ নয় এক একটা অপাদান চিহ্নের জলধির পাশে দাঁড়িয়ে থেকে অনন্ত
সংগীত শিখে নিচ্ছে দ্বাদশ উলুপী , শরীরের প্রতিটি ক্ষত মুখের কাছে রক্ত
স্নাতক ঈশ্বর শুয়ে আছেন আরো একবার নিজের কাটা জিব খন্ডটিকে মৈথুন প্রদেশে
নিয়ে যাবে বলে স্পন্দনহীন বুকের কাছে মধ্যরাতের দরজা ভেঙে যায়
বিস্ময় সূচকে রজঃস্রাবের গন্ধ লেগে আছে মায়ের মতো ,
কোনো
এক জানালার ভিতরে পিচ্ছিল শব্দব্রহ্মেরা এখনো কেউ কেউ শ্মশান পোড়াচ্ছে
দারুচিনিময় অদৃশ্য লাল গন্ধরাজ ফুলের নিচে , রক্তের শিরা পথে অবিনশ্বর
মুদ্রা রাক্ষস রেখে গেল বৃশ্চিক লগ্নের সব নিপুন জাতিকারা,
বুকের ভেতরে জমে থাকা রক্ত তঞ্চলের সুদৃশ্য প্রতিবিম্ব গুলো হেমটনিকের উর্ধ বাহুর ভেতরে লুকিয়ে থাকা শিথিল
জননতন্ত্রটিকে
কুরে কুরে খাচ্ছে ৩.১৫ সংখ্যাটির কোন বর্গমূল থাকে না বলে , ছায়া
প্রদেশের অলৌকিক গন্ধর্বেরা আমার নীল বাবাদের শরীর নিয়ে গোপন ব্রহ্মপ্রদেশ
থেকে ফিরে এলো
আমি সারারাত কাগজ ফুলের ঋ কার অসুখ বানাচ্ছি
নিমাই জানা
রুইনান , সবং , পশ্চিম মেদিনীপুর ৭২১১৪৪
প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ
১) ছায়ার মূলরোম ,
২) নির্জন পুরুষ অসুখ ,
৩) জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম ,
৪) ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া
৫) রজস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যা গুলো
৬) ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ