হে মুজিব ,হে মহামানব
তুমি যে বাঙ্গালির গৌরব ।
তুমিই মোদের অহংকার,
তুমিই মোদের খুলে দিয়েছ মুক্তির দ্বার।
তুমিই কতনা সংগ্রাম করেছ বাঙ্গালি মুক্তির তরে,
তুমিই যেন ভুবনের মাঝে সাহসী বীর হয়ে,
আসতে পারো যেন বারে বারে।
তব মুখে ছিল মৃদু হাসি
ক্ষিপ্ত ভরা ছিল হৃদয়
ঐ ঘাতক,অত্যাচারিদের পতন করে,
করলে তুমি বিশ্ব জয়।
যুদ্ধ শেষ তব বাঙ্গালি জাতি স্বাধীন
বন্ধ তব বাঙ্গালি জাতির রক্ত ঢালা,
হে মুজিব,তব এ প্রাপ্ত জয় মালা।
তব সেই দৃঢ়পণে বজ্রকন্ঠে জাগিয়ে তুললে
ছাত্র, জনতা ,কতনা বাঙ্গালি জাতি আরো,
ঐ ৭ই মার্চের ভাষণে জাগিয়ে তুললে কোটি কোটি বাঙ্গালিকে
এ সৎ সাহস ,ঐ অত্যাচারিদের ছিল না কারো।
ঐ ঘাতকরা রক্তের আলপনা একেছিল বায়ান্ন,বাষট্টি ,উনসত্তর ,
একাত্তরের কানে বাজিয়েছিল আর্তনাতের সুর,
হে মুজিব ,তুমিই তো বিদ্রোহ করে,
এক করলে এই বাঙ্গালি জাতিকে ,
এক করলে কৃষক , শ্রমিক সব মজুর।
হে মুজিব ,তুমিই তো ছিলে মনুষ্যহিতব্রতী,ছিলে বীর,
ঐ ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ছিল অগণিত মানুষের ভিড়।
ঐ ৭ই মার্চে জনতার মঞ্চে দিয়েছ তুমি অমর বাণী,
তারি তরে বাঙ্গালি স্বাধীনতা দিয়েছে আনি,
সারাবিশ্ব আর মোরা নবীন প্রজম্ম গেয়েছি জানি।
তুমিই তো বাঙ্গালির শান্তির তরে
স্বাধীনতার দিয়েছ ডাক,
তোমার বাণী শুনবার তরে সেই দিন মানুষের ভিড় ছিল লাখ লাখ।
তুমিই হিন্দু মুসলিম সব জাতিকে এক করে ,
ডেকেছ বলে ভাই ,
তোমার মতো নির্ভীক মানব যুগে যুগে যেন এই বাংলার মাটিতে পাই।
ঐ ঘাতক, অত্যাচারিরা নিয়েছে কতনা রক্ত
করেছে অনেক অত্যাচার,
হে মুজিব , তুমিই তো বিদদ্রোহ করে ,
করলে তাদের বিচার।
ঐ ঘাতকেরা কেড়ে নিচে চেয়েছিল
তব বাঙ্গালির মায়ের মুখের বুলি,
করতে চেয়েছিল গ্রাস
হে মুজিব ,তুমিই তো বিদ্রোহ করে ,
ঐ ঘাতক ,অত্যাচারিদের পতন করে,
করলে তাদের উৎপীড়ন বিনাশ।
তুমিই তো দেখেছ কতনা রক্তের লাল পথ,
তুমিই তো মনে মনে ক্ষিপ্ত হয়ে ,
বাঙ্গালির মুক্তির তরে করলে শপথ।
হে মুজিব ,তুমিই তো বাঙ্গালির
ভেঙ্গে দিয়েছ সব জড়তা আর অন্ধকার,
ঐ ঘাতক আর অত্যাচারিদের মুন্ড ছিনিয়ে নিতে,
বাঙ্গালি জাতি ভয় করে না আর।
হে মুজিব ,তুমিই তো কোটি কোটি বাঙ্গালিকে জাগিয়ে
রেখেছ বাজি জীবন,
বাংলার মানুষ মনে রাখবে তোমায় ,
মনে রাখবে সারাজীবন।