কত শত নিখিলেশ খুঁজে চলে
জীবনের ঠিকানা,
কোলাহলহীন একাকী রাস্তায়
ক্লান্ত দেহ- মনে।
মধুরাতের জ্যোৎস্না স্নান শেষে
ফিরে যায় সঙ্গী সকলই,
পড়ে থাকে নিকষ কালো রাত,
রুক্ষ পাথুরে জমির পায়ে পায়ে।
কুয়াশার পুরু চাদর ঘিরে ধরে
ভোরের অরুণ আভা,
শীতার্ত মন হাতড়ে বেড়ায়
একটু আলো, একটু উষ্ণতা, সকালের কাছে।
কুয়াশার আবরণ ভেদে
মিষ্টি সকাল আসে না রোদের আলিঙ্গনে!
হঠাৎই খর তাপ নিয়ে এসে দাঁড়ায় চাতক দুপুর,
সবটুকু হাহাকারের তৃষ্ণায় আকণ্ঠ ডুবিয়ে।
সৃষ্টি করে মরিচীকার ভ্রম,
যেখানে খোয়া যায় চোখের তারার সব স্বপ্ন।
শুধু মন জুড়ে পড়ে থাকে
অগুণতি প্রশ্ন তীক্ষ্ম ফলার মতো।
আপন প্রশ্নবাণে আপনি বিদ্ধ হয়
নিখিলেশরা আজ অহরহ,
এভাবেই ডুবে যায় কালের প্রহরে ক্রমান্বয়ে,
পড়ে থাকে এক জীবন্ত লাশ, আপন শব বওয়ার জন্য জীবনের রাস্তায়।।
পরিচিতি- লেখিকা সুমিতা চৌধুরীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সালকিয়ায় ১৯৭৩ সালের ১লা মে। অধুনা নিবাস হাওড়া জেলার লিলুয়ায়।
ছোটবেলা থেকেই বাবা জেঠুদের সান্নিধ্যে এবং অনুপ্রেরণায় লেখার প্রতি অনুরাগ জন্মায়। বিশেষত বাবার উৎসাহ দান ও অনুপ্রেরণায় তখন থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। পরবর্তীতে স্বামী প্রয়াত শ্রী বুলবুল চৌধুরীর সান্নিধ্যে ও অনুপ্রেরণায় সাহিত্য জগতে প্রবেশ। অধুনা বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় ওনার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ "রৌদ্র- ছায়া" সগর্বে প্রকাশিত হয়েছে।