সাদিয়া আলটিমেটাম দিয়েছে,এবার যদি হাশিম এস এস সি-টা পাশ না করে-- দীর্ঘদিনের ঘর বাঁধার স্বপ্ন, ভালোবাসা-- দুটোই ফিনিশ।
সাদিয়া যেখানে মাস্টার্স দিয়ে ফেলেছে, হাশিম এ' সময়ে চাকুরীজীবনে থাকার কথা।ঘোরাফেরা,আদরামো,বাঁদরামোতে প্রচুর সময় নষ্ট করে ফেলেছে সে।এটা সবাই বোঝে।কিন্তু আজকাল সাদিয়া-হাশিম জুটির মতো এমনটি এখনো ঘটে বলে মনে হয়না।যেখানে সবাই ছুটছে সুপারসনিক গতিতে,সেখানে সাদিয়া-হাশিম জুটিটা একেবারেই ব্যাকডেটেড বলে অনেকেই মনে করে।
ঘর বাঁধার বিষয়ে দুটো পরিবার থেকেই কড়াকড়ি--
যা' কিছু করনা কেন, কিছু একটা ইনকামের সোর্স বের না করে ওসব সংসার টংসার একদম নয়। কাজ পেতে সনদ চাই আগে।সেজন্যই তো আপ্রাণ চেষ্টায় বইপত্রের ব্যাগ পিঠে ফেলে সকাল-সন্ধ্যা দৌড়ুচ্ছে সবাই ।
হাশিম গায়েই মাখেনা এ-ই নিষেধাজ্ঞা,ভালো করে পড়েও না।পড়তে বসলেই চোখে ঘুমের উৎপাত।বন্ধুরা ডাকে যখন তখন।মাথার সার্কিট কাজ করেনা।ইতোমধ্যে দাড়ি গোঁফ পাকা শুরু করেছে। চোখের সামনে দিয়ে গ্রামেরই রিকশা অলার ছেলে রহিম-- বিসিএস ক্যাডার হলো।খারাপ ছাত্রী সেলিনা, কৈ মাছের মতো হাতড়ে হাতড়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চাকরিটা পেয়ে গেলো।কালো ষাঁড়ের মতো চেহারার জগলু আর্মিতে। সুযোগে সবাই নানান উদাহরণ টানে।
সাদিয়াও পারতো আর দশজনার গতানুগতিক ধারনায় তথাকথিত, আলোচিত বুইড়া হাবলা হাশিমকে বাদ দিয়ে নতুন বিরিক্ষির ডালে বসতে।কেউ কেউ অন্য রকমের স্বপ্ন দেখিয়েছে।কেউ সরাসরি এসে প্রপোজ করেছে। সাদিয়া শিশুর মতো কেঁদে ফেলে-- হাশিমকে ছেড়ে আর অন্য কিছু সে ভাবতেই পারছেনা।
আরে,এ দেখি দুনিয়ার অবুঝ মাইয়া।বাস্তবতা বোঝেনা।আরে পেরেম বালোবাসা, আবেগ ধুইয়া পানি খাবা?পিতিবিডা খুব জটিল জায়গা।এইখানে আবেগের জায়গা নাই।সবাই এখন নগদে চলতেছে।ওইসব হাশিম-টাশিম পাওয়ারল্যাস পারসন। তূলার মতন উইড়া যাইব।কী নাই আমার?বিদেশে দুইটা বাড়ি,দ্যাশে পোলটি,মাছের আড়ত,কনটাকটরী,রাজনীতি সব আমার হাতের মুঠায়।সুতরাং সব কিছু পিছনে ঠেইলা ফালাও।আমার হাত ধরো--
সাদিয়ার তালুকদার বংশের খালাতো ভাইয়ের কথায় স্বপ্ন আছে। কালার আছে।সাদিয়ার কথায় -- এই স্বপ্নের বসতবাড়ি জুড়ে হাশিমের মনের মতো সুন্দর একটা মন নেই।
সাদিয়ার অনুরোধ আমলে নিয়ে হাশিম আরেকটু দম ছাড়ে,এবার হবে ইনশাল্লাহ।আর পিছানো যাবেনা।আ--রে তুমি আমার জন্য জীবনের চরম পরীক্ষায় অবতীর্ণ, আর আমি তোমার জন্য সামান্য এসএসসিটা পাশ করতে পারবনা?এইটা কোনো বিষয়? খালি একটু পড়তেই কষ্ট।কী করব বলো?সিলেবাসে চোখ পড়তেই মাথা মস্তক ক্যামন জানি চড়কির মতো ঘুরতে শুরু করে। ঘাড়ের রগে যেন একটা ঢেঁকি দুপ্পুর দাপ্পুর শুরু করে।আমি কি কম চেষ্টা করি,কও?
এইবার পারবে।পারতেই হবে।-- সাদিয়ার কন্ঠে আজ শিক্ষকসুলভ আমেজ।
হাশিমের ভেতরকার ফুসফুসে সাদিয়া প্রচুর অক্সিজেন ঢুকিয়ে দিয়েছে মনে হলো।চোখের সামনে রেজাল্ট শিট।আর সবার মতো সেও উল্লাস করছে।ভালো রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরছে।মিষ্টিতে বাড়িঘর সয়লাব। ফুলে ফুলে চারদিকে ক্যামন ফুরফুরে মেজাজ।যার সাথেই দেখা, সবাই পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে।সাদিয়ার গোলাপটা লুফে নিয়েছে হাশিম।অতিরিক্ত আনন্দে কাঁটা ফুটেছে। চিৎকার করে উঠেছে। ---
একি! এমন করছিস কেন বাবা?
মায়ের প্রশ্নে চেতনা, লজ্জা দুটোই উপস্থিত হয়।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে হাশিম কী-সব ভাবাভাবির খেলায় মজে ওঠে আজকাল।
না।সাদিয়ার সম্মান তাকে যে রাখতেই হবে।
পড়ার টেবিলটাকে কাছে টানতে শুরু করেছে হাশিম।বাইরে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। বহুদিনের সঙ্গী আসগর,বাহার,হারাধনদের বিকেলে টুনু মিয়ার চা-স্টলের আসরটা এড়িয়ে চলে।এলাকার বড় ভাইয়ের ডাকাডুকি আর ভাল্লাগেনা।
যথারীতি পরীক্ষার দিন সকাল সকাল সাদিয়া এসে সবকিছু গুছিয়ে দেয়। হাশিমের অসুস্থ মায়ের সেবা যত্নের উছিলায় দীর্ঘ একটি সময়ে বৈতরণীতে সাদিয়া।তালুকদার বাড়ির একটা মেয়ে এবাড়িতেও আসে,এটাই মাকে তৃপ্তি দেয়। সাদিয়াও অন্য ধাঁচে গড়া।সারাক্ষণ কেমন প্রাণবন্ত। মুখে কলমীফুলের মতো চনমনে হাসি।সাজগোছ নেই,কিন্তু হাশিম ওকে নিয়ে কবিতা লেখে।বাঁশি বাজিয়ে শোনায়।
পাড়াপড়শি গাঁইগুঁই করে। তালুকদারের মেয়ে বলে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না।দু-তিন বাড়ি দক্ষিণের তালুকদার-তনয়া সাদিয়ার আত্মীয়রা স্বল্প শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বেকার হাশিমের সাথে বিষয়টা একেবারেই নিখুঁত সাপোর্ট দিতে পারেনি।কারো কারো টেনশন-- মানুষের স্বপ্ন যে এতটা নীচের দিকে ভাবতে পারছেনা।এটি সবাইকে পীড়া দিচ্ছে। ভালো ভালো প্রস্তাব দুহাতে ঠেলে দিয়েছে সাদিয়া।ওর বাবা স্ট্রোক করেছে।বড় মামা সাদিয়াকে বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেও থেমে গেলেন।একমাত্র আদুরে ভাগ্নীর ভালোবাসার পাওয়ার যে এতো বেশি, জানা ছিলো না।
প্রতিবেশী, বন্ধু মহল,নিকটাত্মীয়, শুভকামনা, বয়স্কদের ফুঁ-টু নিয়ে হাশিম ট্রেনে চড়ে।সাদিয়ার আলটিমেটাম বারবার মনে পড়ে। তাই হাতের গাইড বইটা এক মুহূর্তের জন্য রাখেনা।দাঁড়িয়েই বিরবির করে পড়ে।এরি মধ্যে অন্ধফকিরদের দুতিন'টা দলের কোরাস ওর উপর দিয়ে পার হলো।চানাচুর, তাবিজঅলা,কৃমিনাশক টেবলেট,মানিকের ছন্দ মালার বই,পপকর্ণ আরও টিটি সায়েব।সবার সাথে আজকের ঘষাঘষির একটা অন্যরকম আয়োজন।
নিতম্বের একটু যন্ত্রণা অনুভব করে হাশিম।
পেছনে হাত দিয়ে শিউরে ওঠে --- রক্ত!
পকেটমার আজকের ভীড়ে হাশিমকে ভোঁতা ব্লেড দিয়ে বেশ খাতির যত্ন করেছে।নতুন কেনা পেন্টটা, আহা!ঝাঁঝরা নিশ্চিত।ভালো থেকো পকেটমার,যদি হাশিমকে কষ্ট দিয়ে তোমার উপকার হয়,দোয়া করো, যাতে এবারের চান্সে পাশটাশ করেই সাদিয়ার আলটিমেটামের জবাব দিতে পারি।
স্টেশনে নামার পরে মনে হলো,লোকজন তার তেরচাভাবে হাঁটাটাকে বেশ উপভোগ করছে।করুক।এখন একটাই টেনশন, পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। এটা সাদিয়ার কথা।
রিকশায় বসেও শান্তি নেই। নিতম্বের একপাশে ভর করে বসতে হোলো।আর শালার পৌরসভার রাস্তা।বছর টাও পেরুলোনা।ঝাঁকি আর কাহাতক --।
পরীক্ষার হলগেইট বন্ধ। অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। গেইট পেরিয়ে সিট প্লান দেখার জন্য ছোটাছুটি করছে।ঝাঁঝরা পেন্ট,রক্তের ছোপ,মাথার উসকু খুসকু আধপাকা চুল দেখে গেইট পাশ পেতে লেইট হলো।এমনিতেও ট্রেন আজকে লেইট ছিলো।সব ঝামেলা যেন একসাথে পরামর্শ করেই এসেছে!সাদিয়ার দোয়াতে হয়তো পেরিয়েছে।মায়ের পছন্দের সাদিয়া। আহা বিপদে আপদে সাদিয়ার নামটা জপে।কী অমায়িক তৃপ্তি!
পেন্ট কাটার সময় পকেটমার এডমিট কার্ডটাও কেটে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে।এডিট কার্ডের কপালটাও ভালোনা। চরম দুর্গতি।
কর্তব্যরত একজন ভালোমানুষ টাইপের স্যারের সহযোগিতা পেয়ে গেলো হাশিম। একটা চিরকুট লিখে দিলেন।
হলে ঢোকার সময় পরবর্তী কর্তব্যরত একজন নারী শিক্ষক ব্যারিকেড দিলেন--
এই যে হ্যালো,আপনি কি পরীক্ষার্থী?
জ্বী--- আমাকে বলছেন?
হ্যাঁ।আপনাকেই।
কোনো সমস্যা? ---চিরকুটটা দেখালো হাশিম।
ম্যাডাম একবার চিরকুট,আরেকবার হাশিমের বিধ্বস্ত চেহারা দেখছেন।
ম্যাডাম, আমার কিন্তু লেইট হচ্ছে।
কে যেন দূর থেকে ইশারা দিলেন।ম্যাডাম ছেড়ে দিলেন।
খাতা,প্রশ্ন নিয়ে সিটে বসার পর উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মুখরোচক, রুচিহীন, তেঁতো, ঝাল,টক সবধরনের মন্তব্যই আসতে থাকে--- আদুভাই,এক্সপায়ার্ড ডেট শ্যাষ,টেম্পারেচার নাই -- এসব।
হাশিমের মাথায় এ-ই মুহূর্তে কেবল সাদিয়ার আলটিমেটাম।
এক গ্লাস পানি চেয়ে প্রশ্নটার ওপর চোখ বুলাতে শুরু করেছে।
কর্তব্যরত একজন ম্যাডাম এসে চিকন মিষ্টি করে বললেন,
প্রশ্ন ক্যামন হলো?
ভালো।
কমন পড়েছে?
হ্যাঁ।
ঠিক আছে। গোলমাল না করে চুপচাপ লেখেন,কেমন?
গোলমাল করলাম কোথায়?চুপচাপই তো লিখতেছি।আপনিই তো ফটর ফটর করতেছেন।
হলে একটা হাসির ঢেউ লাগলো।
ম্যাডামও ধমকে দেবার সুযোগ নিলেন।কলম কামড়াতে কামড়াতে বাকিরা পরীক্ষা দিচ্ছে। উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। পেছনে বসা মেয়েটাও তাকে ভীষণ বিরক্ত করেছে-- কী ---ন্যাকামো! -- ভাইয়া তিন নাম্বারের খ এ-র আনসারটা একটু দেখান না,প্লিজ--।
কিন্তু সাদিয়ার আলটিমেটাম স্মরণ করে সব কিছুই বাইপাস করে হাশিম। না না।একদম পিছানো যাবেনা।অনেক ঘোলাজল খেয়েছি।আর না।ওসব ভাইয়া টাইয়া ডাকে সাড়া দেয়া চলবেনা।
যথাসময়েই ফুল-আনসার দিয়ে বেরুলো।
সবগুলো পরীক্ষার অবস্থা ভালো। সাদিয়া প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির সামনে অপেক্ষা করে হাতে এক গ্লাস শরবত নিয়ে। তালুকদার বাড়ির সবাই জানে।তবু লুকিয়ে লুকিয়ে হাশিমের জন্য শরবত রেডি করা,বেলগাছের নীচে অপেক্ষা করা,নিজহাতে শরবত খাওয়ানোর মধ্যে অন্যরকম সুখের পূর্ণিমা আলো ছড়ায়।
পরের দিন পরীক্ষা শেষে আবারো সেই ম্যাডাম--
পরীক্ষা কেমন হলো?
ভালোই।
কোনো সমস্যা নেই তো?সাদিয়া কেমন আছে?
সাদিয়া?ওকে চেনেন?
আমি রিতা।সাদিয়া আমার ক্লাসমেট। আমরা গার্লসে পড়তাম।আপনি হাইস্কুলে। আপনাদের বাড়িতে কয়েকবার গিয়েছিলাম।আপনার মনে নেই হয়তো।
অনেকবার মনের ভেতরের মাটিটা উল্টেপাল্টে রিতার স্মৃতি খোঁজার চেষ্টা করে হাশিম।কিন্তু নাহ, মনেই পড়ছেনা।
আপনি এখনো বাঁশি বাজিয়ে পরী আনতে পারেন?
কী সর্বনাশ!এটাও আপনি মনে রেখেছেন! অথচ আমার একদমই মনে নেই।আপনার স্মরণশক্তি বেশ।
বাবা বদলি হয়ে গেলেন।আমরা নারায়ণগঞ্জ চলে গেলাম।আপনার বাঁশির সুরটা এখনো কানে বাজে। জানেন,আপনার দেয়া বলপেনটা অনেকদিন যত্ন করে রেখেছিলাম। পরে কবে যে কোথায় হারিয়েও ফেললাম।
এরকমটাই হয়। হারাবার জিনিস হারাবেই। জোর করে কি ধরে রাখা সম্ভব?
আপনি জিতেছেন।সাদিয়ার সৌভাগ্য। ও আপনাকে হারাতে দেয়নি।
থাক ওসব হারানো, না -হারানোর নিস্প্রভ গল্প।ঠিক আছে। পরীক্ষার ঝামেলা নিয়ে আছি। আমার চেহারা দেখেই বুঝতে পারছেন আমার কপালটা পঁচা ডোবায় পড়ে আছে।এটাই লাস্ট চান্স। যেভাবেই হোক ----
সাদিয়া আলটিমেটাম দিয়েছে, তা ই না?
মুখটা ভোঁতা করে হাশিম আপাতত জায়গাটা ছেড়ে দিয়েছে।ফিরতি ট্রেনের সময় মাত্র পাঁচ মিনিট আছে।
সব শুনে সাদিয়া নিঃশ্বাস নিলো চুপচাপ। ভয় জাপটে ধরে।
নানান রকম দুশ্চিন্তা, কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে
রেজাল্ট হয়ে গেলো।এরি মধ্যে মা মারা গেছেন।সাদিয়া আবারো ওপর হাশিমের চাপড়ানো বুকে আশ্বাস, বিশ্বাসের শীতল স্পর্শ জোগাবার চেষ্টা করে।
আজকের বেরুনো রেজাল্টে হাশিমের রোল নাম্বার টা নেই!তালিকায় আরো বিশজনের রেজাল্ট উধাও।
ব্যস্।
সাদিয়া এবার ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। উল্টাপাল্টা বকতে শুরু করেছে।এক সপ্তাহ কেটে গেল। ঘরে দরোজা বন্ধ করে হাশিম আপাতত দরবেশের মতো ধ্যানে বসে।সাদিয়াও আর আসেনা।ওপর সামনে দাঁড়াবার সাকুল্য দুঃসাহসের শেষ শক্তিটাও নেই হাশিমের।
করে যেন খবরটা দিয়ে গেছে সাদিয়া কী যেন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তালুকদার বাড়ির দাঙ্গাবাজ ছেলেগুলোর ভয় হাশিমকে কোনঠাসা করে ফেলেছে।সেখানে গিয়ে দাঁড়াবার সৎসাহস আগাগোড়া মরতে বসেছে।
পনেরদিন পরে আরো একটা দুঃসংবাদ --- ডাক্তারের কথায় --
সাদিয়া দুঃখ,সন্তাপের ভার সইতে পারেনি।পড়শি,আত্মীয়দের কথার খেজুরকাঁটা প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করেছে।তার বাঁচার খুব ইচ্ছে ছিল।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাশিমের জন্য অপেক্ষা করেছে।
হাশিম সবই বোঝে।এ-ও জানে এসময়ে ও একটা অপদার্থ।
সিদ্ধান্ত নিলো, সাদিয়াহীন জীবন নিয়ে গ্রামটা ছেড়েছুড়ে চলে যাবে কোথাও।
সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছে।
বাইরে একজন দেখা করতে এসেছে।
রিতা ম্যাডাম। হাতে রজনীগন্ধা।হাশিমের সাথে বিশজনের সংশোধিত রেজাল্ট অনুযায়ী হাশিম ভালোভাবেই পাশ করেছে।
রিতা ম্যাডামের হাতে শুধুই কি ফুল? শুধুই কি রেজাল্ট?
নাহ্।সাদিয়ার মতো লাগলো না রিতাকে।
(সমাপ্ত)
গল্পকার পরিচিতি----
পেশায় হোমিও চিকিৎসক। গল্প, কবিতা, নাটক ছড়া,প্রবন্ধ লিখেন।তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত। ছবি আঁকার ঝোঁক আছে।
ঠিকানা
প্রগতি হোমিও ফার্মেসী,
শ্যামগঞ্জ বাজার,
ময়মনসিংহ,