এখনো রাতভর অশ্রুসিক্ত নয়নে
স্মৃতির টুকরো জুড়ে দেয়
এটা কি আবেগ নাকি ভালোবাসা
তবে কি শুধুই প্রেম।
রাতের পর রাত জেগে
আকাশের ঠিকানায় বার্তা
পাঠানো মেয়েটা বিয়ের পিঁড়িতে
বসার জন্য প্রস্তুতি নেয় পরিবারের চাপে।
কেউ লাভ রিয়েক্ট দিলো কেন?
এরকম চুলচেরা বিষয় নিয়ে
কতো অভিমান, অভিযোগ,কান্না।
আর ছেলেটা পায়ের নিচের মাটিকে শক্ত করতে
দিনভর খাটাখাটুনি।
দোকানের ক্রেতাদের ওষুধ পার্সেল করে দাও,
স্টকে মালপত্র ঠিকঠাক মিলায়ে দিবে,
আর ক্যাশটা গুনে দিয়ে যেও
মহাজনের ফরমাশ খাটতে রাত বারোটা।
নিয়ম করে অভিমান ভাঙাতে ফোনকল কিংবা বার্তা পাঠানো। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ভৌগলিক দূরত্বের বাহানা কমিয়ে দিয়েছে স্মার্ট ফোন।
ভৌগলিক দূরত্বের বাহানা দিয়ে মেয়ের পরিবার অস্বীকৃতি দিয়েছে ।
তারা দুজনে পার্কে কিংবা সিনেমায় যায় নাই।
ঘন ঘন তাদের সাক্ষাত হয় নাই
বছরে একবার মুখোমুখি হতো
অতঃপর তাদের এটা ভালোবাসা নাকি প্রেম হবে ?
এখনো এতটুকু ঘাটতি নেই।
তিল তিল করে গড়ে উঠেছে
এটা তাদের আত্মিক সম্পর্ক।
সংসার পাতানোর ভাগ্য হলো না ঠিকি
অবিরাম অশ্রুধারা গড়িয়ে ছেলেটা মিনতি রাখে -
ঠাকুরের চরণে -
- প্রিয়তমা , ভালো থাকো । ভালো রাখো।
দূরন্ত প্রযুক্তি বার্তা পৌঁছায় কানে কানে,
মেয়েটি বলে-
শুধুই ভালোবেসে গেলাম কিছু পেলাম না
স্মৃতি পাতায় রেখে দিও মোরে
কেঁদে ভেজায়ে মুছে দিও না ।
তুমি ও ভালো থেকো প্রিয়তম,
ব্যথিত হৃদয়ের আকুতি এই
সকল অপরাধ ক্ষম ।