দেখা হয়নি তোমায় মোমবাতির আলোয় আজও;
দেখেছি খিদের জ্বালায় রুগ্ন শিশুকে স্ট্রীটলাইটের আলোতে,
দেখেছি অনাহারে ডাস্টবিনে কাড়াকাড়ির ছবি –
কীভাবে লিখবো প্রেমের বরাদ্দ দু-লাইন!
পাইনি হাজারো খুঁজে কোন কারণ...
ভেঙে যাওয়া জল ঝরা চালার নীচে
কুঁড়ে খায় অভিশপ্ত ভালোবাসা;
আলোআঁধারিতে আমার পরিতৃপ্তি খুঁজতে গিয়ে
মনে পড়ে যায় ঐ মুখগুলো বারবার,
তাই পেটের খিদেয় হাহাকারে
বাকিসব পায়ে পিষে দিতে বাধ্য হয়েছি;
অনামিকা ক্ষমা করো আমাকে
দেখা হয়নি তোমায় মোমবাতির আলোয় আজও...
গতিময় জীবনধারাকে থমকে দিয়ে প্রতিক্ষণে;
আটপৌড়ে চৌহদ্দির সমাধি দিতে চেয়েছি
বুভুক্ষের চিৎকারে...
কেউ শোনেনি আমার কথা সেদিন
শুনবেও না কোনদিন আর
সানগ্লাসে চোখ রেখে তুমিও বোঝোনি!
অনামিকা ক্ষমা করো আমাকে
দেখা হয়নি তোমায় মোমবাতির আলোয় আজও...
পথ চলতি বহু মানুষের ভিড়ে;
বিসর্জন দিয়েছি একের পর এক
আবেগ- ভালোবাসা আর চিন্তাকে...
পা মিলিয়েছি মৃত্যুপুরীর মিছিলের স্রোতে
‘হাঁড়’ চুষতে থাকা পেটমোটা শিশুটার হাত ধরে,
অনির্দিষ্ট পথ এখনও হাঁটা বাকি রয়ে গেছে
কীভাবে লিখবো তাহলে –
প্রেমের জন্য বরাদ্দ দুটো লাইন!
তাই বলি, অনামিকা পারলে ক্ষমা করে দিও
জানি, তোমায় দেখতে পারবোনা মোমবাতির আলোতে কোনদিন...
দেখেছি খিদের জ্বালায় রুগ্ন শিশুকে স্ট্রীটলাইটের আলোতে,
দেখেছি অনাহারে ডাস্টবিনে কাড়াকাড়ির ছবি –
কীভাবে লিখবো প্রেমের বরাদ্দ দু-লাইন!
পাইনি হাজারো খুঁজে কোন কারণ...
ভেঙে যাওয়া জল ঝরা চালার নীচে
কুঁড়ে খায় অভিশপ্ত ভালোবাসা;
আলোআঁধারিতে আমার পরিতৃপ্তি খুঁজতে গিয়ে
মনে পড়ে যায় ঐ মুখগুলো বারবার,
তাই পেটের খিদেয় হাহাকারে
বাকিসব পায়ে পিষে দিতে বাধ্য হয়েছি;
অনামিকা ক্ষমা করো আমাকে
দেখা হয়নি তোমায় মোমবাতির আলোয় আজও...
গতিময় জীবনধারাকে থমকে দিয়ে প্রতিক্ষণে;
আটপৌড়ে চৌহদ্দির সমাধি দিতে চেয়েছি
বুভুক্ষের চিৎকারে...
কেউ শোনেনি আমার কথা সেদিন
শুনবেও না কোনদিন আর
সানগ্লাসে চোখ রেখে তুমিও বোঝোনি!
অনামিকা ক্ষমা করো আমাকে
দেখা হয়নি তোমায় মোমবাতির আলোয় আজও...
পথ চলতি বহু মানুষের ভিড়ে;
বিসর্জন দিয়েছি একের পর এক
আবেগ- ভালোবাসা আর চিন্তাকে...
পা মিলিয়েছি মৃত্যুপুরীর মিছিলের স্রোতে
‘হাঁড়’ চুষতে থাকা পেটমোটা শিশুটার হাত ধরে,
অনির্দিষ্ট পথ এখনও হাঁটা বাকি রয়ে গেছে
কীভাবে লিখবো তাহলে –
প্রেমের জন্য বরাদ্দ দুটো লাইন!
তাই বলি, অনামিকা পারলে ক্ষমা করে দিও
জানি, তোমায় দেখতে পারবোনা মোমবাতির আলোতে কোনদিন...
পরিচিতিঃ
অমিতাভ অধিকারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। ইচ্ছে ছিল একজন সফল সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার; সেসব স্বপ্ন রয়ে গেছে। আপাতত শেষ অর্জিত ডিগ্রি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে স্নাতকোত্তর, এখনও পড়াশোনা জারি রয়েছে। বর্তমানে তার নেশা ঘোরা, লেখালেখি আর পড়াশোনার মধ্যে নিজের মুক্তি খুঁজে বেড়ানো। ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা একটি আধুনিক অণুকবিতা সংকলন 'শালুক ফুলের রাত'। এছাড়াও তার সম্পাদিত ' নিভৃত যাপন ', ' বিহান বেলার রোদ্দুরে ' এবং ' সুচে তনার উপাখ্যান ' সংকলন পাঠক কূলে সমাদৃত।