আমি অনেক প্রতীক্ষা করেছি
প্রতীক্ষা করেছি পাতাঝরা দিনের
প্রতীক্ষা করেছি বসন্ত বরণের
প্রতীক্ষা করেছি আম্রকাননে গুঞ্জনের
হাসনাহেনার,কাঁঠালচাঁপার,শিউলি র,মাধবীর।
প্রতীক্ষা করেছি হলদে পাখির,চাতকের,ফিঙের
কোকিলের,চিলের,ময়ূরাক্ষী জলের।
প্রতীক্ষা করেছি ডাহুকের,সুদর্শনের,জোনাকির
প্রতীক্ষা করেছি কাশফুলের,নদীতীরে,ছোট্ট ডিঙার
প্রতীক্ষা করেছি আযানের,শিউলি ঝরা প্রভাতের।
সেই কবে শিউলি ঝরে গেছে
পাতাঝরা দিনের মুক্তি মিলেছে
এখন আম্রকাননে গুঞ্জধ্বনি উঠে
সবুজ পাখিরা উড়ে-উড়ে আসে ছাদে
ঠোকরে-ঠোকরে ফল খেয়ে চলে
আমি অপলক দেখি ওদের
বড় ঝাপসা দেখি-
একটা ছোট্ট নীল অথবা হলুদ খামের প্রতীক্ষায়
কেটে গেছে সহস্র দিন।
জনান্তে থেমেছে কোলাহল
অপলক প্রতীক্ষারা দৃষ্টি ম্রিয়মাণ করে দিয়ে গেছে।
রাত্রি নেমে এলে ডাকহরকরা থেমে যায়
সহস্র বছরেও কোনোদিন আসেনি ওরা।
তাই এইবেলা আজ রাত্রিতে নত মুখে
বইয়ের গন্ধ নিতে এসেছি,
ঝাপসা দৃষ্টিতে বর্ণদের বিদ্রোহে আষাঢ় নেমেছে
আমি তবুও প্রতীক্ষা করছি-
একটা ছোট্ট নীল অথবা হলুদ খামের।
রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা
প্রধান নির্বাহী স্বপ্ন '৭১ প্রকাশন
সহসম্পাদক বইচারিতা (বই বিষয়ক পত্রিকা)
দারুণ লিখেছন আপু।
ReplyDelete~ নুসরাত