সভ্যতা, কে তোমারে আনিছে ডাকিয়া পাপিষ্ঠ লোকালয়ে?
তুমি তো ছিলে পড়ে ভাঙা মন্দির দ্বারে
দূর্বা ঘাস গজিয়ে যেত মেরুদণ্ডের হাড়ে
দূর্বা ঘাস গজাতে দেয়নিকো ওরা।
ওরা কারা???
চেয়ে দেখো ভাল করে
সভ্যতার পরতে পরতে বাস করে
ঘাম ঝরে, দিনান্তে ফেরে ঘরে।
সূর্যাস্তেই সভ্যতার অন্বেষণে ব্যাকুল বিহব্বল দুটি হাত,
অবিরত চলতে থাকে যন্ত্রের ন্যায়।
ঘামের পর ঘাম শুকিয়ে যায় প্রত্যহ
পাওনা আদায়ে কোথাও যেন নেই কেহ।
সভ্যতাই মান,সভ্যতাই প্রাণ
করে চলে কাজ অবিরাম।
শ্রমজীবীর দুটি হাত,ফসকে যায়
সভ্যতার নিচের তলায়,
মেরুদণ্ডের উপর দাড়িয়ে রয় সভ্যতার ভিত।
রক্তহীন পান্ডুর দেহের রক্তে
বান ডেকে যায় সভ্যতার ঘরে ঘরে।
তোমরা কারা,আমি চিনিনা তোমাদের
তোমাদের ঘাড়ে দূর্বা গজাক
আমি বেঁচে থাকবো,আমি সভ্যতায় বাস করা নরকীট।
তোমাদের মুষ্টিবদ্ধ দুটি হাত অক্ষয় হয়ে থাক।