অনামিকাকে
হয়তো
কোনো এক এলোমেলো ফাগুনের বিকেলে চৈত্রের এক আনমনা বালিকা পলাশ ফুল নিয়ে গেছে ফিরে!
শূন্য বাগানে পড়ে আছে তার অসমাপ্ত চিঠি কিছু কাঁপা কাঁপা ভীতু স্বর আর একটা গোলাপ ফুল!
হয়তো
কোনো এক নিদাঘ বিকেলে
একা একা নদীতীর ধরে। দৌড়ে পার হয়েছো তুমি গোধূলির ছায়ামাখা পথ!
সমস্ত সমাপ্তি রেখা টেনে
বিলাপ ধ্বনির মধ্যেবিসাদ বালিকা চলে গেছে নিরুদ্দেশে। !
আর
সারা জীবন ধরে তুমি খুঁজে চলেছো রুমা ঝুমা অনামিকা
গেয়ে চলেছো " ভুল সব ই ভুল! এ জীবনের পাতায় পাতায় !
আঁখি মেলে
সারাদিন আঁখি মেলে
দুয়া রে রহি একা!
কবিগুরু
তুচ্ছ তা নিয়ে মানুষের কোনো মাথা ব্যথা নেই - - সে শুধু নদীর বহমান স্রোতে সময়ের রূপরেখা আঁকে!
সে জানে - কখন বালিকনা জমতে জমতে হয়েছে পাহাড়
কখন ভিনদেশী রাখাল গরুর পাল নিয়ে যায় মাঠে?
কার মেধায় কে কে গোপনে
আঁচল রেখে খুঁট বাঁধে?
তারপর
ধীরে ধীরে সে পুড়ে পুড়ে ইস্পাত হয় - " দল মা দলের " গোলা হয়ে মহা আনন্দে ফাটে !
আদতে তুচ্ছ তা খুবই নিরামিষ শব্দ - এই শব্দ নিয়ে মানুষের কোনো বিকার নেই!
সে শুধু সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করে!
ছায়া পুরুষ
নিরাময়
যোগ্য বিকেলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ ফুরিয়ে যাচ্ছে হাওয়া ! এই সব
বিলুপ্তির মধ্যে দেখি মঞ্চ খুলে নিচ্ছে স্বমেহনের আশ্চর্য বাঁশ ! ধ্যান ও
বিন্দুর সলিল সমাধি র মাঝেই আমি কিভাবে এটি পেতে পারি ? বাঁশ ঠিক নয়
বৃষ্টি ভেজা সকাল জুড়ে কালো রঙের যশ ও খ্যাতি !
সে
যাই হোক মেদ কমানোর সহজ সরল পথে চলতে গিয়ে বেছে নিয়েছি সেই অনাগত পথ যে
পথে আমি আলো ছড়িয়ে আকাশকে ভেঙ্গে স্পর্শ করতে পারি মহাশূন্য কে !
ভালোবাসা কে
রহস্য.ঘেরা ঝ রা পাতা দের দেশে আমি কবিতা কে বন্ধু বলে ডাকি!
প্রতিটি শব্দের শেষে দু একটা বান্ধবী এসে আমাকে জ্বালায় - - " তোমার ছদ্মনামে কবিতার শেষে আমি নেই কেন?
বেকুব রহস্য গল্পের মতো আমার বাজ পাখি সিরিজের গোয়েন্দা চোখ ম্লান হয়ে আসে! আমি" অপার বর্ন পরিচয় খুলে বসি!
ভাবি - এত দিন ভান করে মোহন পদ্য লিখলাম কেন?
অতঃপর কল্পনায় মনোরম করে চোখ এঁকে রাখি সুজাতা র - - কৈশোরের ছাদে কি আসতে পারে ঘুড়ি উড়ে আসার দিন?
আবার কি মাতাল হতে পারে বসন্তের হাওয়া?
রি নি বা রুমি যেই হ ও তুমি! সময় তাকে খুঁজ বে বলে ওই ছ ললনা. ম য় অক্ষরের দিকে আজও হয় নি আমার সেই নৌকা নিয়ে যাওয়া?