মরিচীকার মাঝে যদি পাও মরুদ্যান,
তবে কি ভুলবে সে প্রকৃতির দান !
জীবনের গীত গেয়ে চলছে যে পথিক,
সে পথে কাঁটা বিছানো কি সঠিক ?
ক্ষণিকের অভিনয়ে না ই বা হলে দক্ষ,
ব্যর্থ যদি হও পূরণে লক্ষ্য !
পথের দু'পাশে থরে থরে ফুলেরা আছে ফুটে,
সাজাবে নতুন দুনিয়া তোমার মনের রাজ্যপাটে।
আপন তো ওরাই সব প্রতি মধাহ্নে,
যখন ছায়াও থাকবেনা তোমার সঙ্গে ।
জীবনটা যেদিন একমুঠো ছাই হবে,
তোমার বিদায় বেলায় পাশে শুধু সাদা ফুল রবে।
আপন ছিল যারা এতদিন অতি প্রিয়জন,
তোমাকে অশুচি মানবে সেই আত্মজন ।
ঘৃণাভরে দূরে দেবে ফেলে তোমার স্মৃতি,
সে গুলো হবে সব ভৌতিক অনুভূতি ।
স্বার্থের সংঘাতে বদলায় অভিঘাত,
হিসাবের খাতায় লেখা হয় জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত।
দিতে দিতে যখন হয়েছো অতি ক্লান্ত,
তখনও চাওয়া পাওয়ায় হয়নি কেউ ক্ষান্ত !
ক্লান্ত শ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ মেঘের ডানায় উড়ে,
চাহিদা না মিটিয়ে তুমি ছিলে অকর্মা ভবঘুরে।
উড়ছে যখন এ দেহের ছাই হাওয়ায়,
ব্যস্ততা তখন পরিজন মনে শুধুই চাওয়া পাওয়ায় ।
আবেগের ঢেউ ধিরে ধিরে স্তিমিত মনের তীরে,
স্বার্থের অধ্যায় লেখা হয় শান্ত মনের গভীরে ।
আপনার ছিল যত এতদিন পরিবারে,
সে সব গত আজ জীবনের শনিবারে ।
ধরার তীর্থে কত কোলাহল এ বুক জুড়ে,
আজ সব বিলীন মহাশূণ্যে প্রাণভরে।
আমার আমার কোরোনা গো আর,
সকলি রেখে পার হতে হবে জীবনের পারাবার ।
পিছে চিৎকার করবে না কেউ আর-
যাও নিয়ে যা ছিল সব তোমার........
নাটকের হবে শুরু দখলের কারবার,
সবই পিছে থাকে ডাকেনা সে জন একবার !
তবে কেন মিছে এত আয়োজন,
আপন করে নাও যেটুকু প্রয়োজন ।
ক'ফোটা চোখের জলে পথ হবে পিছল,
পরে রবে মায়ের ফেলে যাওয়া আঁচল।
ওপারের ডাক যদি আসে কাছে,
ফিরাবে তাকে কার সাধ্য আছে !
বাঁধা আছে খেয়া ঘাটের রশিতে,
আয় চলে আয় শেষ খেয়াতে হাসতে হাসতে।
ওরে আয় জীবনের শেষ সীমানায়,
বেলা বয়ে যায় কে যাবি এ শেষ খেয়ায়.....!